দৌলতপুর সীমান্তের ভারত ভূখণ্ডে বিএসএফের গুলিতে আবুল কাশেম (৩৫) নামে বাংলাদেশি এক গরু চোরাকারবারি নিহতের ঘটনা ঘটেছিল।
১৫ দিন পর তার লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিহতের লাশ ফেরত দেওয়া হয়। চল্লিশপাড়া সীমান্তের ৮৫/১০(এস) সীমান্ত পিলার সংলগ্ন নোম্যান্স ল্যান্ডে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমের নিহত বাংলাদেশির লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ।
১৪ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে আবুল কাশেম দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চল্লিশপাড়া সীমান্তের ওপার ভারত ভূখণ্ডে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। নিহত আবুল কাশেম দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চল্লিশপাড়া সীমান্ত এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে।
পতাকা বৈঠকে বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানার ১৪১ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন অধিনস্থ জলঙ্গী বিএসএফ ক্যাম্পের অধিনায়ক এসি বলরাম সিং।
জলঙ্গী থানা পুলিশের পক্ষে এসআই খুরশিদ আলম উপস্থিত ছিলেন। বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনস্থ মহিষকুন্ডি কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার দেলোয়ার হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন, দৌলতপুর থানার ওসি নিশিকান্ত সাহা। পরে নিহতের পরিবারের পক্ষে নিহতের ছোট ভাই মিঠু লাশ বুঝে নেন।