সমতল ভূমিতে মানুষের জমি, নদী, খাল পেরিয়ে হলেও সারাদেশকে গ্রিড বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় নিয়ে এসেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এমনকি সন্দ্বীপের মতো দ্বীপ অঞ্চলেও সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দিয়েছে সরকার। তবে লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে এখনো বেশকিছু অফগ্রিড এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়া বাকি। সরকার সেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে কাজ করছে। বিশেষ করে পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল, চরাঞ্চলসহ যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছানো কষ্টসাধ্য সেই সব অফগ্রিড এলাকায়ও বিদ্যুৎ পৌঁছানোর কাজ পুরোদমে চলছে। সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে দেশব্যাপী বিদ্যুতায়নের কাজ করছে। ২০২১ সালের মধ্যে প্রতিটি মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
তবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই সব ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে যেসব এলাকা অফগ্রিডের মধ্যে রয়েছে সেগুলোও দ্রুত সংযোগের আওতায় আনার কাজ করা হচ্ছে।
সচরাচর যেসব অসমতল ভূমিতে বা প্রতিকূল পরিবেশের কারণে যেখানে গ্রিডের বিদ্যুৎ সহজে পৌঁছে দেওয়া যায় না তাকে অফগ্রিড এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এক হিসাব অনুযায়ী তাদের আওতাধীন ১ হাজার ৫৯টি গ্রাম রয়েছে অফগ্রিড এলাকা। যার মধ্যে ১ হাজার ৩০টি গ্রামে গ্রিড লাইনের মাধ্যমে সংযোগ দেওয়া হবে। সাবমেরিন ক্যাবল বসিয়ে বিচ্ছিন্ন গ্রামগুলোয় বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে এবং ২৯টিতে সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ চলছে।
অন্যদিকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবারও গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, ১১টি গ্রিড উপকেন্দ্র, ছয়টি সঞ্চালন লাইন এবং ৩১টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন আমাদের সময়কে বলেন, শতভাগ বিদু্যুতায়নের সিংহভাগ বাস্তবায়ন করছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন সমিতিগুলো। আমরা আশা করছি গ্রিড বা অফগ্রিড সব এলাকায় চলতি ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ বাস্তবায়ন করতে পারব।