সংক্রমণ প্রতিরোধে ৬ ফুট দূরত্ব রাখা বাধ্যতামূলক। মহামারীর শুরুর দিন থেকেই এই নিয়ম মেনে চলছিল বিশেষজ্ঞ থেকে সকলেই।
কিন্তু এবার তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেল। এক নতুন গবেষণায় বিশেষজ্ঞদের দাবি, ছয় ফুটের চেয়ে বেশি দূরত্বে পৌঁছে যেতে সক্ষম করোনাভাইরাস।
ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখলেই যে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যাবে, এমনটা নাও হতে পারে। বরং বিভিন্ন পরিস্থিতি ও শর্তের মাপকাঠির উপর এই দূরত্ব কতটা রাখা উচিত, তা ধার্য হয়। নতুন এই গবেষণার রিপোর্ট সামনে আসতেই নতুন আশঙ্কায় ভুগছে বিশ্ববাসী।
সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দ্রুত জিনগত পরিবর্তন ঘটাচ্ছে এই মারণ ভাইরাস।
এক গবেষণার ফল চলতি সপ্তাহে প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে বলে হয়েছে, ছয় ফুট ন্যূনতম দূরত্ব হিসেবে ঠিক আছে। কিন্তু যেখানে বায়ু চলাচলের পর্যাপ্ত পরিস্থিতি নেই, সেইরকম ঘরোয়া পরিস্থিতিতে ছয় ফুটের বেশি দূরত্ব রাখা প্রয়োজন।
ভার্জিনিয়ার টেক সিভিল ও এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক লিনসে মার বলেছেন, ছয় ফুটের দূরত্ব মানেই যে সংক্রমণের আশঙ্কা একেবারে নেই, তা কিন্তু বলা ঠিক হবে না।
ন্যূনতম হিসেবে এই দূরত্ববিধি ঠিক আছে। এই ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। আর ঠিক সেই জায়গাতেই সমস্যা।
ওয়াশিংটনের এক সংগীতানুষ্ঠানের অনুশীলনে এক গায়কের মাধ্যমে ৪৫ ফুট দূরে ভাইরাস ছড়িয়েছে। সেখান থেকে ৫২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
ফলে শুধুমাত্র সামাজিক দূরত্ব সংক্রমণের সমস্যা মেটাতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, বাইরে সামাজিক দূরত্ব ও ওয়েল ফিটেড মাস্কই একমাত্র সংক্রমণ রুখতে পারে।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, কোনও জায়গায় বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা, কে কতক্ষণ একই জায়গায় থাকছে, ভিড়, মাস্ক পরছেন কিনা, এমনকি সকলে চুপ করে আছেন, কথা বলছেন নাকি চিৎকার করছেন- এ সব কিছুর উপরই নির্ভর করে সকলে কতটা দূরত্ব বজায় রাখবে।