মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা ঘটনাবলীর তদন্তে একটি জুডিসিয়াল ইনকোয়ারি কমিশন গঠন করা উচিত। আমরা এসব ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চাই।
আজকে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে এক লাখের ওপরে মামলা। ৬০৩ জনের ওপরে গুম হয়ে গেছে। ৮৪২ জন মারা গেছেন। এসব তথ্য ডকুমেন্টেড যারা রিপোর্ট করেছেন তাদের।
এ ছাড়া আনডকুমেন্টেড অনেক আছে। এটা সম্পূর্ণ তথ্য নয়, অনেক তথ্য আছে যেটা আমাদের কাছে নেই। ২০০৯ সাল থেকে ‘গুম’ হওয়ার ঘটনাসমূহ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশে প্রেস ব্রিফিং এবং এর খসড়া জাতিসংঘের কাছে পাঠানোর কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
ঘটনাগুলো সম্পর্কে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সংবাদ সম্মেলন করে ব্রিফ করেছি। আমাদের দলীয় প্রধান এর খসড়া জাতিসংঘকে পাঠিয়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক কোনো অ্যাকশন এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, আমাদের রক্ষা করবার সময়, এ সময় আমাদের গণতন্ত্রকে রক্ষা করবার সময়, এ সময় আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবার সময়, আমাদের রক্তের বিনিময় স্বাধীনতাকে রক্ষা করবার সময়।
বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণভাবে একটি গণতন্ত্রহীন, ফ্যাসিবাদী একনায়কতন্ত্র একটা দেশে পরিণত হয়েছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আসুন আমরা সেই লক্ষ্যে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি। নিজেদের মধ্যে ছোট-খাটো বিভেদ ভুলে গিয়ে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই।
বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বাংলাদেশ মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম ও বিচারবর্হিভুত হত্যা ও নিপীড়ন-নির্যাতন সম্বলিত মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন।
আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে রবিবার এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এই দাবি জানান।
সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদের সঞ্চালনায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান, ১৯৭৪ সালে গুম হওয়া ন্যাপ নেতা আবু বকর জাফর উদ-দৌলা দিপুর বোন বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য তরিকুল ইসলামের স্ত্রী অধ্যাপক নার্গিস বেগম, ২০১৭ সালে গুম বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াস, ২০১৩ সালে গুম হওয়া ঢাকার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন সানজিদা ইসলাম ও গুম হওয়া লাকসাম পৌরসভার সভাপতি পারভেজ কবির হীরুর স্ত্রী শাহনাজ আখতার বক্তব্য রাখেন।