যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রাশেদ চৌধুরীকে চলমান মুজিববর্ষেই দেশে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ মিলনায়তনে আজ সোমবার (৩১ আগস্ট) ‘জনতার প্রত্যাশা’ নামের সংগঠন আয়োজিত আলোচনাসভায় এ কথা জানান তিনি।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে ২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্র্যান্ট হয়েছেন খুনি রাশেদ চৌধুরী। আমরা সেসব তথ্য যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছি।
আশা করছি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষেই তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে। তিনি বলেন, বিদেশে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত পাঁচজন খুনি আছেন। যাদের মধ্যে দুইজনের তথ্য আমাদের কাছে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি কানাডায় পলাতক আরো একজনের (নূর আলী) তথ্যও আমাদের কাছে আছে।
তাকেও ফিরিয়ে আনার জন্য আলোচনা করছি। বাকি তিনজনের বিষয়ে আমাদের কাছে ভাসাভাসা তথ্য রয়েছে।
বিদেশে পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চলছে এবং এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান আব্দুল মোমেন।
দেশবাসী বিদেশে পলাতক বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে এনে ফাঁসি কার্যকর দেখতে চায়’ শীর্ষক আলোচনাসভায় আরো বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার, কৃষক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ প্রমুখ।