শিক্ষার্থীকে পড়াশোনা করে শুধু চাকরি খুঁজলে চলবে না, তাকে উদ্যোক্তা হতে হবে- এ মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, নিজের কর্মস্থান নিজেকেই করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা দিতে হবে।
তাই সাধারণ শিক্ষার তুলনায় কারিগরি শিক্ষায় বেশি জোর দিচ্ছে সরকার।
সোমবার এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ইরাব) আয়োজিত কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা : এসডিজি অর্জনে করণীয় শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদ, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. মোরাদ হোসেন মোল্ল্যা প্রমুখ।
সাধারণ ও মাদরাসা শিক্ষায় নবম ও দশম শ্রেণিতে কারিগরি শিক্ষার অন্তত দুটি ট্রেড বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
২০২১ সাল থেকে এটি করার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে এর প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। আশা করছি, ২০২২ সালের প্রথম থেকেই এটি শুরু করা সম্ভব হবে।
শিক্ষার্থীদের সময়ের সঙ্গে উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। কোনো কাজকেই ছোট করে দেখা যাবে না। সব ক্ষেত্রে মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।
ভবিষ্যৎকে গড়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে তাদের। পরিকল্পনা করে সেটি নিখুঁতভাবে বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে হবে।
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন থাকলেও অর্থের সঙ্কুলান না থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি। আগে যত্রতত্র যে কেউ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করে ফেলতেন। এখন অনুমোদন নিয়েই এসব স্থাপন করতে হবে।
ইরাব সভাপতি মুসতাক আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হকের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব মাওলানা শাব্বির আহমদ মমতাজী, টেকনিক্যাল এডুকেশন কনসোর্টিয়াম বাংলাদেশের সভাপতি প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ, কারিগরি শিক্ষা কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. নাজমুল ইসলাম, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মাওলানা জয়নুল আবেদীন জেহাদি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সাব্বির নেওয়াজ ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শরীফুল আলম সুমন।