চীন জোর করে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে আটকে রেখেছে বলে আভিযোগ করেছেন জম্মু-কাশ্মীর ডেমোক্র্যাটিক লিবারেশন পার্টির চেয়ারম্যান এম হাশিম কুরেশি।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টি মুসলিম ও খ্রিস্টানদের প্রতি যে আচরণ করেছেন তা তুলে ধরে কাশ্মীরি এই নেতা বলেছেন, ‘জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিমদের জোর করে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।
প্রকাশিত একটি নিবন্ধে কুরেশি লিখেছেন, পূর্ব লাদাখে চীনের তৎপরতা তার বড় সম্প্রসারণবাদী নকশার অংশ। এই ধরণের সম্প্রসারণবাদী মানসিকতা নিয়ে অন্যের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা যায় না। চীনে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের কতটুকু স্বাধীনতার অনুমতি রয়েছে তা পুরো বিশ্বই জানেন।
আরো বলেন, আমাদের ভূমি রক্ষা করার পরিবর্তে আমরা সর্বদা একটি শক্তিশালী প্রতিবেশীর দাসত্বের জোয়াল গ্রহণ করতে স্বেচ্ছাসেবী হয়েছি।
উইঘুর মুসলিমদের ধর্মীয় পরিচয় মুছে ফেলতে জিনজিয়াংয়ে বন্দি শিবির স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে মুসলিম কর্মকর্তাদের নামাজ পড়ার, দাড়ি রাখার অনুমতি নেই। মসজিদগুলো লম্বা মিনার তুলতে পারে না।
এই পরিস্থিতিতে, যারা ভারতে চীনা আক্রমণকে তাদের জন্য আনন্দের মুহুর্ত মনে করে তাদের মানসিকতা নিয়ে আমাদের শোক করা উচিত, কারণ তারা ভারতের শত্রু।
ভারতীয় ও চীনা সেনারা চলতি বছরের মে মাসের পর থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) তে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।
সীমান্তে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে গত ১৫ জুন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভয়াবহ সংঘাত হয়। এতে উভয় পক্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি সমাধানে ভারত ও চীন দফায় দফায় সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনা চালালোও ফলাফল আসেনি।