ভ্যাকসিন নিয়ে সরকারের তৎপরতা দিন দিন বাড়ছে। দেশে ভ্যাকসিন আমদানির প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো ধরনের রাজনীতিতে জড়াবে না বাংলাদেশ।
মন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল সোমবার সচিবালয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কেয়ানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, চীনা কম্পানি সিনোভ্যাককে এরই মধ্যে দেশে শেষ ধাপের ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ভারতের সেরাম কম্পানি কর্তৃক উৎপাদিত অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন আনার বিষয়েও আলোচনা চলছে। একই সঙ্গে রাশিয়া সরকারের কাছেও ভ্যাকসিন আমদানির ব্যাপারে আমরা চিঠি দিয়েছি।
ব্যাপারে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সরকারের ফলপ্রসূ আলোচনাও হয়েছে। করোনা মোকাবেলায় যে ভ্যাকসিন আগে আসবে, সরকার সেটিকে প্রাধান্য দেবে।
দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশকে খুব দ্রুত আট লাখ কভিড কিট ও দুটি টেস্টিং ল্যাব দেবে বলে জানিয়েছে।
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে বাংলাদেশ কোনো ধরনের রাজনীতিতে জড়াবে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
চীন ও ভারত থেকে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন আনার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, দুই ক্ষেত্রেই উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ।
চীনের একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশের আইসিডিডিআর,বির ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য একটি চুক্তি হয়েছে। তবে এ নিয়ে কোনো ধরনের রাজনীতিতে জড়ানো ঠিক হবে না।
আরো বলেন, সব পথই খোলা রাখা হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেভাবে পরীক্ষা চালানো হয়েছে, তা অনুসরণ করেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
প্রতিরোধে চীন তার উদ্ভাবিত সম্ভাব্য ভ্যাকসিন ট্রায়ালের প্রস্তাব বেশ আগেই দিয়েছে বাংলাদেশকে। গত মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশ এ বিষয়ে সবুজ সংকতে দেয়।
আবার বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন পেতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছে দেশের ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
এ ছাড়া ভারতও তার নিজস্ব উদ্যোগে ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই ভ্যাকসিন চূড়ান্ত হলে তা যেন বাংলাদেশ পায়, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে গত মাসে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার বাংলাদেশ সফরে।