শ্যালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ভগ্নিপতিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড

নড়াইলের কালিয়া মির্জাপুর গ্রামে শ্যালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ভগ্নিপতি আউয়াল ফকিরকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চ বুধবার এ রায় দেন।

আউয়াল ফকিরের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত (স্টেট ডিফেন্স) আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এ বি এম বায়েজীদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

কালিয়া উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে রেহানা বেগম বোনের বাড়িতে ১৯৯৯ সালের ৭ ডিসেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওই রাতেই মারা যায়।

এ ঘটনায় ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’র অভিযোগে কালিয়া থানায় মামলা হয়। কিন্তু রেহানার মরদেহের ময়না তদন্তের পর ধর্ষণের আলামত পাওয়ায় পুলিশ ২০০০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মামলা করে। মামলায় তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩০ মার্চ রেহেনার ভগ্নিপতি আউয়াল ফকিরকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

এরপর বিচার শেষে নড়াইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ২০০১ সালের ২৯ মার্চ এক রায়ে আউয়াল ফকিরকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

কারাবন্দী আউয়াল ফকির হাইকোর্টে আপিল করেন। একইসঙ্গে নিন্ম আদালত থেকে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয় হাইকোর্টে। উভয় আবেদনের ওপর শুনানি শেষে মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে ২০০৩ সালের ৭ ডিসেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট।

এ রায়ের পর আপিল বিভাগে আপিল করেন আউয়াল ফকির। এই আপিলের ওপর ২৬ আগস্ট আপিল বিভাগে শুনানি সম্পন্ন হয়। শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগ।

২০০১ সালের ২৯ মার্চের পর থেকে এখন পর্যন্ত কারাগারে কনডেম সেলে বন্দি এই আসামি।