উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় স্থানীয় দুই যুবলীগ নেতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাদের চিহ্নিত করা হয় বলে জানায় পুলিশ। এলাকাবাসী ও স্থানীয় নেতারা বলছেন, গ্রেফতারকৃত যুবলীগ নেতারা এলাকায় টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িত ছিলো।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলায় জড়িতদের সনাক্তে ঘটনার পর থেকে তোড়জোড় চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াহিদা খানমের ভাই মামলা করার চারঘণ্টা পর হিলির সীমান্তবর্তী কালিগঞ্জ এলাকা থেকে প্রধান অভিযুক্ত আসাদুলকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে ঘটনার পরপরই সন্দেহজনক হিসেবে গ্রেফতার করা হয় ইউএনওর বাসার দাড়োয়ান নাহিদ হোসেন পলাশকে।
পরবর্তীতে ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় যুবলীগের কয়েক নেতারা সম্পৃত্ত থাকার অভিযোগ উঠলে, ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন ও সিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুদ রানাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা স্থানীয় যুবলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত স্বীকার করে এলাকাবাসী ও দলটির স্থানীয় নেতারা গণমাধ্যমকে বলছেন, তারা মাদক, চাঁদাবাজি ও চেন্ডারবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িত।
জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে সম্প্রতি ঘোড়াঘাট পৌর মেয়রের উপর হামলার অভিযোগে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় গ্রেফতার হয়ে সে জামিনে ছিল।
স্থানীয় নেতার অভিযোগ বলেন, ‘জাহাঙ্গীর এবং আসাদ- তাদের কোন সংগঠন নেই, তারা যুবলীগের নাম ভাঙিয়ে যে কাজগুলো করছে সত্যি নেক্কারজনক।
সব সময় তারা চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি কাজকর্ম করে আসছে। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।