বাংলাদেশে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে রূপ পাল্টাচ্ছে করোনাভাইরাস। জিনোম সিকোয়েন্সিং করে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ-বিসিএসআইআর।
রবিবার বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) মিলনায়তনে বিসিএসআইআর জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির কভিড-১৯ এর জিনোম সিকোয়েন্সিং প্রতিবেদন অবহিতকরণসভা বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আফতাব আলী শেখ এ তথ্য জানান।
ডা. মো. আফতাব আলী শেখ জানান, করোনাভাইরাস ডিজিজ-১৯ সংক্ষেপে (কভিড-১৯) জিনগত বৈচিত্র্য পর্যবেক্ষণ করার জন্য সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের সর্বমোট ২৬৩টি জিনোম সিকোয়েন্সিং ও ডাটা বিশ্লেষণ করা হয়। এ নমুনা চলতি বছরের ৭ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়।
দেশের আট বিভাগের ৩০০টি ভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিং তথ্য বিশ্লেষণ করে বিসিএসআইআর বলেছে, সারাবিশ্বে নমুনা প্রতি মিউটেশন হার ৭ দশমিক ২৩, তবে বাংলাদেশে তা ১২ দশমিক ৬০।
ফলে সার্স কভিড ২ ভাইরাসটি প্রতিনিয়ত তার বৈশিষ্ট্য বদলাচ্ছে এখানে। সবগুলো নমুনাতেই ৪টি মিউটেশনের পুনরাবৃত্তি পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
ভাইরাসের সংক্রমণ, মিউটেশনের হার, জিনগত বৈচিত্র্য, নন-সিনোনিমাস মিউটেশন এবং জিনোমিক ফাইলোজেনি পর্যবেক্ষণ করা। গবেষণার ফলাফলকে কভিড-১৯ মহামারি রোধে কার্যকর ভূমিকা পালনে ব্যবহার করা।
এতে জানানো হয়, স্পাইক প্রোটিনের জিনে ১০৩টি নিউক্লিওটাইড মিউটেশনের মধ্যে ৫৩টি নন-সিনোনিমাস অ্যামিনো এসিড প্রতিস্থাপন ঘটে যার মধ্যে ৫টি স্বতন্ত্র যা বিশ্বে আর কোথাও নেই। সংগৃহীত নমুনায় শতভাগ ক্ষেত্রে ৪টি মিউটেশন পুনরাবৃত্তি লক্ষ্যণীয়। গবেষণার ফলাফল প্রিন্ট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। কয়েকটি রিসার্চ পেপার ও শিগগিরই আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হবে।