রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) পাবনার সুজানগর উপজেলার আমিনপুর থানার রানীনগর ইউনিয়নে ভাটিকয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন গ্রুপের লোকজন স্থানীয় গজনার বিলে কাঠা দিয়ে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেলো। এমন সময় স্থানীয় রানী নগর ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতিসহ তার সমর্থকেরা ভাটিকয়া গ্রামের একজন মাছ ধরা জেলেকে আটকে রেখে মারপিট করে। এমন খবরের ভিত্তিতে স্থানীয় গ্রামবাসীরা তাদের উদ্ধার জন্য গেলে স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাহীন তার দুই ভাই সাইদুর ও শরিফুল তাদের সমর্থকদের নিয়ে গ্রামবাসীর উপর হামলা চালিয়ে গুলি বর্ষণ করে। এই ঘটনায় শাহীনুজ্জামান শাহীন গ্রুপের প্রায় ২০ জন সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে তালিকাভুক্ত হয়ে ১৮ জন শরীরের গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন গুরুত্ব আহত হয়েছেন। আর বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
গুরুত্বর আহতরা হলেন- রানীনগর উইনিয়নের ভাটিকরা গ্রামের শাকির সরদার, সেলিম সরদার, রাজীব খান, উজ্বল বিশ্বাস, জহির বিশ্বাস ও রাকিব মোল্লা। এরা প্রত্যেকেই পাবনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। তাদের সকলে বাড়ি একই গ্রামে।
এই ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনা স্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্তসহ মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
পাবনা জেলারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহেদী হাসান রুমী বলেন, রবিবার দুপরের পরে পাবনা জেনারে হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কিছু রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয় জনের অবস্থা বেশ গুরুতর। আমরা মোট ১৮ জনের শরীরর থেকে বন্দুকের গুলি বের করেছি। সকলে বর্তমানে ভালো আছে।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক বলেন, স্থানীয় দুইপক্ষের মধ্যে জ¦লাশয়ের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা হয়েছে। একপক্ষ অপর পক্ষের উপর গুলি চালিয়েছে। এই বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে মামলা হবে। তবে আহত পক্ষের কেউ এখনো অভিযোগ নিয়ে আসেনি। ঘটনা স্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি আরো বলেন আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে ।