মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। রবিবার লেবাননের আল মায়াদিন টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
গত মাসে বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। নাজাহ ওয়াকিম আরও বলেছেন, সত্য লুকাতে ৪ আগস্টের বিস্ফোরণের বিষয়ে তদন্ত চালানোর ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।
তারা এখন সত্য লুকানোর চেষ্টায় আছে। একই ঘটনা ঘটেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরি হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে। ২০০৫ সালে বৈরুতে এক বিস্ফোরণে নিহত হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরি। জাতিসংঘের সহযোগিতায় ওই বিস্ফোরণ ও হত্যাকাণ্ডের তদন্ত হয়েছে।
৪ আগস্টে বৈরুত বন্দরে যে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে তাতে ওয়াশিংটনের জড়িত থাকার বিষয়টি ভবিষ্যতে প্রমাণিত হবে। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের পরপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রনকে বৈরুতে পাঠিয়েছিল যাতে সেখানে রাশিয়া ও চীন কোনো ভূমিকা রাখতে না পারে।
৪ আগস্ট বৈরুতে বিস্ফোরণের পরপরই বৈরুত সফর করেন ম্যাক্রন এবং সেখানে তিনি হস্তক্ষেপমূলক বক্তব্য রাখেন। এরপর গত মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফা সফরে আসেন তিনি। এবারও তিনি লেবাননের নেতৃবৃন্দকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, সংস্কার আনুন নইলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।