দীর্ঘদিন সীমিত আকারে ট্রেন চলাচলের পর আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চালু হচ্ছে আরো ৮৪টি।
এ নিয়ে ২১৮টি ট্রেন চালু হবে। বাকি ১৪৪টি মেইল ও লোকাল ট্রেন পর্যায়ক্রমে চালু হবে।
মঙ্গলবার রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক করার অংশ হিসেবে পর্যায়ক্রমে চালু হতে যাচ্ছে ট্রেন সার্ভিস।
গত ৯ আগস্ট রেল মহাপরিচালক এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালকের (অপারেশন) মাঝে বৈঠকে সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় ট্রেনগুলো চালু করা হচ্ছে।
আগামী ১০ সেপ্টেম্বর চালু হচ্ছে কর্ণফুলী কমিউটার; তিতাস কমিউটার; তুরাগ এক্সপ্রেস-১, ২, ৩, ৪; কালিয়াকৈর কমিউটার-১ ও ২ এবং লোকাল (নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ)।
১৩ সেপ্টেম্বর চালু হবে জালালাবাদ এক্সপ্রেস; সুরমা মেইল; ঢাকা/নোয়াখালী এক্সপ্রেস; ময়মসিংহ এক্সপ্রেস; ভাওয়াল এক্সপ্রেস; ধলেশ্বরী এক্সপ্রেস; চাঁদপুর কমিউটার, নোয়াখালী কমিউটার এবং তৃতীয় দফায় ১৬ সেপ্টেম্বর চালু হবে নাজিরহাট কমিউটার-১, ২, ৫, ৬; লোকাল (চট্টগ্রাম-দোহাজারী-চট্টগ্রাম); লোকাল (মোহনগঞ্জ-ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ); লোকাল (ঝারিয়া ঝাঞ্জাইল-ময়মনসিংহ-ঝারিয়া ঝাঞ্জাইল); উত্তরবঙ্গ মেইল; কাঞ্চন কমিউটার; দিনাজপুর কমিউটার; বুড়িমারী কমিউটার-১ ও ২; কুড়িগ্রাম শাটল; রাজবাড়ী এক্সপ্রেস-১, ২, ৩, ৪; ভাটিয়াপাড়া এক্সপ্রেস-১ ও ২।
এদিকে, আগামী শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে সারা দেশের কাউন্টারে পাওয়া যাবে ট্রেনের টিকিট। করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর কাউন্টারে টিকিট বিক্রি শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ রেলওয়ের উপপরিচালক (টিসি) নাসির হাসান খান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে বর্তমানে ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হচ্ছে।
১২ সেপ্টেম্বর থেকে এই ৫০ শতাংশ টিকিটের অর্ধেক ২৫ শতাংশ আসন কাউন্টারের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। কাউন্টার খুলবে প্রতিদিন সকাল ৮টায়।