তাস সংক্রান্ত এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যা এখন পর্যন্ত অতিদক্ষ খেলুড়েরাও জানে না পারেন। তাস খেলতে পারেন না, এমন মানুষের সংখ্যা খুব বেশি নয়। ব্রিজ, ব্রে, টোয়েন্টি নাইন, তবে আর যাই হোক রংমিলন্তি অন্তত খেলতে পারেন প্রত্যেকেই।
সলিটেয়ার এই মুহূর্তে জনপ্রিয়তম কম্পিউটার গেমগুলির মধ্য একটি। তা ছাড়া, তাসের সাংস্কৃতিক গুরুত্বও কম নয় মানব সভ্যতায়। প্রবাদ-প্রবচন, জোকস, ম্যাজিক— কোথায় না ছড়িয়ে রয়েছে তাস!
জেনে নেয়া যাক কিছু তথ্য:
• তাসের উদ্ভব প্রাচ্যদেশে। ১২শতক নাগাদ এই খেলার প্রচলন হয় বলে জানা যায়।
• প্রাচীন চিনে হাড় বা হাতির দাঁতের তাসের প্রচলন ছিল।
• স্পেড-এর টেক্কাটিকে অন্যরকম দেখতে কেন? ফ্রান্স এক সময়ে তাস খেলা এতটাই জনপ্রিয় হয় যে, স্পেড-এর টেক্কার উপরে কর বসিয়ে বিপুল আয় করতে থাকে ফরাসি সরকার। তাই তাকে আলাদা করে চিহ্নিত করার প্রয়োজন ছিল। এখন তাস-প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি এই বিশেষ তাসটিতে তাদের সংস্থার তথ্য ছাপে।
• তাসের মাত্র দু’টি রং। লাল আর কালো। তারা নাকি দিন ও রাত্রির প্রতীক।
• তাসের চারটি স্যুট নাকি ফোর সিজনস-এর প্রতীক। হার্ট বসন্তের, ক্লাব গ্রীষ্মের, ডায়মন্ড ফল-এর, স্পেড শীতের প্রতীক। আর ডেক-এ তাসের সংখ্যা ৫২। বছরে ৫২টি সপ্তাহই থাকে।
• কুইন অফ স্পেড গ্রিক যুদ্ধের দেবী অ্যাথিনার প্রতীক।
• চার রাজা নাকি ইতিহাসের চার বিখ্যাত নৃপতি। স্পেড— কিং ডেভিড, ক্লাব— আলেকজানডার দ্য গ্রেট, হার্ট— শার্লামেন এবং ডায়মন্ড— জুলিয়াস সিজার।