দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। দেশে কোনো খাদ্যের সংকট নেই বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
শুক্রবার ডিজিটাল রাইস প্রকিউরমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে খুলনা জেলায় শতভাগ চাল প্রকিউরমেন্ট কার্যক্রমের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী এ কথা জানান। এ সময় তিনি বলেন, এ বছর পর্যাপ্ত পরিমাণে ধান উৎপাদন হয়েছে।
এক শ্রেণির ব্যবসায়ী খাদ্য মজুদ ও কৃত্রিম সংকট করে মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাইস মিল মালিকরা করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে। খাদ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য অধিদপ্তরসহ এর সকল দপ্তরসমূহ অটোমেশনের আওতায় আনা হবে।
ভর্তুকি দেওয়াসহ নানামুখী পদক্ষেপের কারণে দেশ কৃষিতে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে বিদেশেও রপ্তানি করছে।
খুলনার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠানে ঢাকার মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন খাদ্যমন্ত্রী।
জুম অ্যাপে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ এবং খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
যুক্ত ছিলেন খুলনার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মাহবুবুর রহমান। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ তানভীর রহমান, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, জেলা রাইস মিলস মালিক সমিতির সভাপতি মুহা. মুস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
জুম অ্যাপে যুক্ত ছিলেন খুলনার সকল উপজেলার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা।