২০১৭ সালে অস্ট্রিয়ার সরকার সামরিক ব্যয় কিছুটা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে তাদের বিমান বহরে থাকা ১৫টি ব্যয়বহুল ৪++ প্রজন্মের ইউরোফাইটার তাইফুন জেট ফাইটার বন্ধুভাবাপন্ন তৃতীয় কোন দেশের কাছে বিক্রয়ের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়।
আর এই সুযোগটিকে কাজে লাগাতে ইন্দোনেশিয়ার সরকার অস্ট্রিয়ার বিমান বাহিনীর বহরে থাকা ১৫টি এডভান্স ইউরোফাইটার তাইফুন জেট ফাইটার অনেকটাই কম মূল্যে ক্রয়ের জন্য অস্ট্রিয়ার সরকারের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং অস্ট্রিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইতোমধ্যেই এই বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। মুলত অস্ট্রিয়া ২০০৩ সালে ১৮টি ইউরোফাইটার তাইফুন ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয় এবং ২০০৭ সালে এই সংখ্যা কিছুটা কমিয়ে ১৫টি পর্যন্ত এই জাতীয় হেভী জেট ফাইটার ক্রয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
তবে অস্ট্রিয়ার বিমান বাহিনীর হিসেব মতে, ১৫টি ইউরোফাইটার তাইফুন জেট ফাইটারের ৩০ বছরের সার্ভিস লাইফ টাইমে রিপিয়ার এণ্ড মেইন্টেনেন্স বাবদ ৬.২০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হবে। তাই সামরিক খাতে এই বিপুল পরিমাণ ব্যয় কমিয়ে আনতে তাদের বিমান বহরে থাকা ১৫টি ইউরোফাইটার তাইফুন বিক্রি করে তার পরিবর্তে স্বল্প ব্যয় সম্পন্ন লাইট এডভান্স জেট ফাইটার ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও অস্ট্রিয়ার বিমান বহরে থাকা ১৫টি ইউরোফাইটার তাইফুন তৃতীয় কোন দেশের কাছে বিক্রয় কিংবা হস্তান্তর করতে হলে চূক্তি মোতাবের ইউরোফাইটার কনসেটিয়ামের অনুমোদন নিতে হবে।
ইন্দোনেশিয়া মুলত রাশিয়া থেকে ১১টি এসইউ-৩৫ জেট ফাইটার ক্রয়ের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে এর বিকল্প হিসেবে অস্ট্রিয়ার বিমান বাহিনীর ব্যবহৃত ১৫টি এডভান্স ইউরোফাইটার জেট ফাইটার সংগ্রহের প্রবল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ইন্দোনেশিয়ার এই জেট ফাইটার ক্রয়ের চুক্তি এবং মূল্য কি হতে পারে তা এখনো চূড়ান্ত করা হয় নি।