মালয়শিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান বলেছেন, শিগগিরই শূন্য-ব্যয় নিয়োগের চুক্তিতে থাকা বাকি ইস্যুগুলোর জন্য মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপকে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছি। প্রায় সমস্ত বিষয় নিষ্পত্তি হয়ে গেছে এবং আমরা এটি চূড়ান্ত করার খুব কাছাকাছি এসেছি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার বলেছে যে তারা নেপালের সঙ্গে যেভাবে চুক্তিতে পৌঁছেছে ঠিক তার মতো যথাযথ সম্মতি ছাড়া শ্রমিক প্রেরণ করবে না এবং প্রয়োজনীয় বিধানের যথাযথ সম্মতি থাকতে হবে।
মালয়েশিয়া অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য জোর করে কাজ করাতে নিয়ম উঠিয়ে দিতে এবং আমদানিকারক দেশগুলো থেকে সম্ভাব্য বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর জন্য আরেকটি শূন্য মূল্যের নিয়োগ চুক্তি করতে চাইছে।
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার নতুন চুক্তিগুলো নেপালের সঙ্গে স্বাক্ষরিত নিয়োগ চুক্তির অনুরূপ হবে।
এছাড়া চুক্তির অধীনে নিয়োগকর্তারা নিয়োগের জন্য চার্জ, যাওয়া আসার বিমান ভাড়া, ভিসা ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সুরক্ষা স্ক্রিনিং এবং ভ্যাট প্রদানের জন্য দায়বদ্ধ থাকবে।
এদিকে, কুলাসেগারন স্থানীয় রাবার গ্লোভ প্রস্তুতকারীদের অবিলম্বে সামাজিক কমপ্লায়েন্স অডিট রিপোর্ট (এসসিএআর) জমা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ আমদানিকারক দেশগুলো টেকসই নিয়োগের বিষয়ে মালয়েশিয়ার রেজুলেশন খুঁজতে থাকে।
গতকাল কুয়ালালামপুরে রাবার শিল্পের উপর অনুষ্ঠান শেষে কুলাসেগারন বলেছিলেন, আমদানিকারক দেশগুলোর চাপের সঙ্গে প্রধানত আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রকে স্বেচ্ছায় তাদের এখনই বিষয়টি সমাধান করা উচিত।
সূত্র: দি মালয়েশিয়ান রিজার্ভ