পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ১৫ সেপ্টেম্বর তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চালুসুগ্লুর সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসতে এবং আঙ্কারায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চার দিনের এক সফরে আজ তুরস্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
শেখ হাসিনা ১৪ সেপ্টেম্বর তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় ভার্চুয়ালি বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করবেন। মোমেন ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কমপ্লেক্সে উপস্থিত থাকবেন।
তিনি বলেন, (আঙ্কারায় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ১৫ সেপ্টেম্বরের বৈঠকে) রোহিঙ্গা সংকট, ডি-৮ সম্মেলন এবং বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা প্রাধান্য পাবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের ফাঁকে মোমেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গেও দেখা করবেন।
এ ছাড়া স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল এবং ইসলামিক কো-অপারেশন ইয়ুথ ফোরামের (আইসিওয়াইএফ) সভাপতির সঙ্গেও তাঁর বৈঠক করার কথা রয়েছে।
তুরস্ক রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধানে বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আঙ্কারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) পরবর্তী বৈঠকে উত্থাপন করবে বলে ঢাকাকে আশ্বস্ত করেছে।
মোমেন বলেন, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি ঢাকায় আগামী জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ডি-৮ সম্মেলন আয়োজন সম্পর্কে আলোচনা করবেন। কভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতির ওপর সম্মেলনটির আয়োজন নির্ভর করছে।
বাংলাদেশ ডি-৮-এর পরবর্তী সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে। এ বছরের মে মাসে এটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মহামারির কারণে বিলম্বিত হয়েছে। বর্তমানে তুরস্ক ডি-৮-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে।
এটি একটি অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংগঠন। এটি ডেভেলপিং-৮ নামেও পরিচিত। এর আরো সাতটি সদস্য রাষ্ট্র হচ্ছে- বাংলাদেশ, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তান।
জি-২০ গঠিত সাত ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল সহায়তা পেতে তুরস্ক বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বলে ঢাকা আশা প্রকাশ করছে। ১৬ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা ফিরবেন।