করোনাভাইরাস সতর্কতায় এবার বিমান যাত্রীদের পরতে হচ্ছে হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্কের পাশাপাশি ফেস শিল্ড।
রবিবার থেকেই কার্যকর হয়েছে এ সিদ্ধান্ত।
দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে আকাশপথে ভ্রমণে ২৫ শতাংশ সিট খালি রাখার বাধ্যবাধকতা উঠে গেছে। এখন থেকে শর্ত সাপেক্ষে প্রায় শতভাগ যাত্রী নিতে পারবে এয়ারলাইনসগুলো।
তবে কেবিন ক্রুদের মতো এবার যাত্রীদেরও পরতে হচ্ছে হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্কের পাশাপাশি ‘ফেস শিল্ড’।
যাত্রীদের এসব সুরক্ষাসামগ্রী সরবরাহ করতে হবে এয়ারলাইনসকে। একই সঙ্গে পেছনের দুই সারি সিট খালি রাখতে হবে।
যদি কোনো যাত্রী অসুস্থ বোধ করে, তাদের পেছনের সিটে বসানো নিশ্চিত করতে এমন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট সব এয়ারলাইনসের কাছে পঠিয়েছে বেবিচক। তবে আন্তর্জাতিক রুটে এই নিয়ম শিগগিরই চালু করা হচ্ছে না।
বিমানযাত্রায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে ৭৫ শতাংশের বেশি যাত্রী না নেওয়ার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বেবিচক। এ জন্য ‘গাইডলাইন ফর এয়ার অপারেটরস অন প্রিভেন্টিং স্প্রেড অব কভিড-১৯ অন কমার্শিয়াল এয়ারক্রাফট’ শীর্ষক ৩৫টি নির্দেশনাসংবলিত আদেশ জারি করা হয়েছিল।
বিমান সংস্থাগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা শর্ত সাপেক্ষে শুধু অভ্যন্তরীণ রুটে এই নিয়ম কার্যকর করছি।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম গতকাল বলেন, আমরা যাত্রীদের যাওয়া-আসা দুই গন্তব্যেই ফেস শিল্ড, মাস্ক ও গ্লাভস সরবরাহ করব।
আমাদের ৭২ আসনের উড়োজাহাজে ৬৮ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারব। বেবিচকের স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক আমরা আজ (গতকাল) থেকেই এই নিয়ম কার্যকর করছি।
করোনাভাইরাসের কারণে ২১ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে এবং অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল বেবিচক। পরে ১৬ জুন থেকে বিমান চলাচল আবার শুরু হয়।
তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে সিট খালি রাখার নিষেধাজ্ঞা শিগগিরই উঠছে না জানিয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক রুটে এটি আপাতত করতে পারছি না। কারণ আমাদের বিমানবন্দরের ক্যাপাসিটি অনুযায়ী দূরত্ব মেনে ইমিগ্রেশন, হেলথ ডেস্কের কার্যক্রম চালানো কঠিন হবে।
এদিকে চেক ইন কাউন্টারের কর্মীসহ বিমানবন্দরে কর্মরত কর্মীরা গ্লাভস, মাস্ক এবং পুনর্ব্যবহার অযোগ্য ক্যাপ ব্যবহার করছেন এবং চেক ইন কাউন্টারেই যাত্রীর তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে।
এ ছাড়া প্রতিটি ফ্লাইট ছাড়ার আগে উড়োজাহাজ, যাত্রীবাহী বাসও জীবাণুমুক্ত করতে হচ্ছে। সবাইকে ফ্লাইট ছাড়ার আগে ‘সার্টিফিকেট অব ডিসইনফেকশন’ দিচ্ছে বেবিচক।