আমিরাতের পর বাহরাইনের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
সমর্থন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরও নিজ দেশেই ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। তার পদত্যাগের দাবিতে চলছে বিক্ষোভ।
শনিবারও জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। এদিন তারা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে জড়ো হয়ে বাঁশি বাজিয়ে, পতাকা নেড়ে, ব্যানার-পোস্টার হাতে তুমুল স্লোগান তুলে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার শুধু জেরুজালেমেই সমবেত হয়েছিলেন প্রায় ১০ হাজার বিক্ষোভকারী। এছাড়াও ছোট-বড় বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে গোটা দেশজুড়েই।
আয়োজকদের দাবি, সব মিলিয়ে এদিন বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন অন্তত ২৫ হাজার ইসরায়েলি।
গত আগস্টে ইসরায়েল ডেমোক্রেসি ইনস্টিটিউটের এক জরিপে দেখা গেছে, করোনা সংকট মোকাবিলায় নেহানিয়াহুর সক্ষমতায় বিশ্বাস নেই দেশটির ৬১ শতাংশ মানুষের।
সমালোচকরা বলছেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী তার বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষ, জালিয়াতি ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগের শুনানি নিয়ে এত বেশি ব্যস্ত ছিলেন যে মহামারি মোকাবিলায় নজর দিতে পারেননি।
৭০ বছর বয়সী এ নেতার বিরুদ্ধে গত মে মাসে বিচার শুরু হয়েছিল এবং আগামী জানুয়ারিতে তা ফের চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তার দাবি, এগুলো তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বামপন্থীদের রাজনৈতিক চক্রান্ত মাত্র।
বিক্ষোভকারীরা গণতন্ত্রকে পদদলিত করছে অভিযোগ করে এর তীব্র নিন্দাও জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় মাত্র একমাসের মধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক চালু করেছে ইসরায়েল। বিষয়টিকে বেশিরভাগ ইসরায়েলি স্বাগত জানালেও করোনা মহামারিতে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটে অনেকটাই চাপা পড়ে যাচ্ছে এ সাফল্য।