বেনাপোল বন্দর দিয়ে বন্ধ হয়ে গেল পিয়াজের আমদানি। আজ সোমবার বিকেলে বাংলাদেশে পিয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত।
ফলে বেনাপোলের ওপারের পেট্রাপোলে আটকা পড়ে পিয়াজ ভর্তি প্রায় ১৫০টি ট্রাক। একই অবস্থা ভোমরা বন্দরেও।
ভোমরা বন্দর দিয়ে কোন পিয়াজের গাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি।
দেশের সকল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পিয়াজের আমদানি বন্ধ রয়েছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে সকালের দিকে ৫০ মেট্রিক টন পিয়াজ ঢোকার পরপরই দেশের সবগুলো বন্দর দিয়ে পিয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারতের পিয়াজ রফতানিকারকদের সংগঠন।
বেনাপোলের ওপারে পেট্রাপোল রফতানিকারক সমিতির পক্ষে ব্যবসায়ী কার্তিক ঘোষ বলেন, পিয়াজ রফতানি কারক সমিতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতি মেট্রিক টন পিয়াজ ৭৫০ মার্কিন ডলারের নিচে বাংলাদেশে পিয়াজ রফতানি করবে না।
বেনাপোলের পিয়াজ আমদানি কারক রফিকুল ইসলাম রয়েল জানান, ভারতের সাথে আমদানি বাণিজ্য শুরুর পর থেকে প্রতি মেট্রিক টন পিয়াজ ২৫০ মার্কিন ডলারে আমদানি হয়ে আসছে।
ভারতের নাসিকে বন্যার কারণে সেখানে পিয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় পিয়াজের রফতানিকারকরা স্থানীয় বাজার দর হিসাবে প্রতি মেট্রিক টন পিয়াজ ৭৫০ ডলারের নিচে বাংলাদেশে পিয়াজের রফতানি করবে না। এ কারণে তারা পিয়াজের রফতানি সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছে।
ভারতের বনগাঁ এলাকার পিয়াজ ব্যবসায়ী অনিল মজুমদার টেলিফোনে জানান, বাংলাদেশে পিয়াজ রফতানি করতে তাদের আপত্তি নেই। বাজার দরে এলসি পেলে তারা পুনরায় রফতানি শুরু করবে।
সে ক্ষেত্রে পুরানো যে সব এলসি দেয়া আছে সেগুলো ২৫০ মার্কিন ডলার সংশোধন করে সংশোধিত মূল্যে এবং নতুন এলসি ৭৫০ মার্কিন ডলার করা হলে পিয়াজের আমদানি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, ভারত কোনো ঘোষণা ছাড়াই মূল্যবৃদ্ধির দাবিতে বাংলাদেশে পিয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে।
পারস্পারিক বাণিজ্যে সমঝোতার বিকল্প নেই। তারা রফতানি বন্ধ না করে পিয়াজের আমাদানিকারকদের সময় বেঁধে দিতে পারতো। হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্তটা নেয়া ঠিক হয়নি।
এদিকে পিয়াজের আমদানি বন্ধের খবরে নড়ে চড়ে বসেছে বেনাপোলের পিয়াজের আমদানিকারক ও পিয়াজ ব্যবসায়িরা।
সন্ধ্যার আগেই খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি করতে শোনা গেছে।