পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর মাথায় হাত পশ্চিমবঙ্গে পেঁয়াজ রপ্তানির সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের। তাদের ভয়, এই সিদ্ধান্তের ফলে তাদের অনেক টাকার লোকসান গুনতে হবে।
পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কাতেও ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি হয় কিন্তু ভারতীয় পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় বাজার বাংলাদেশ।
সোমবার ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা জারির পর পশ্চিমবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিভিন্ন স্থলবন্দরে আটকে গেছে পেঁয়াজ ভর্তি কয়েক শ ট্রাক।
‘স্থলবন্দরগুলোর ভেতরে এবং বাইরে মিলিয়ে প্রায় এক হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আটকে গেছে। এদের মধ্যে অনেক ট্রাক শুল্ক বিভাগ থেকে বাংলাদেশে ঢোকার ছাড়পত্র পেয়েছিল।
কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাদের আটকে দেওয়া হয় বলে জানান মিহির ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরের এক রপ্তানিকারক।
তাঁর মতে পেট্রাপোলে ১০০টি এবং মালদার মহাদিপুরে ১৫০টি পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক আটকে আছে।
পেঁয়াজ রপ্তানি না করতে পারলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে। অনির্দিষ্টকালের জন্য সীমান্তে যদি ট্রাক আটকে থাকে তাহলে পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাবে এবং আমাদের বড় অংকের লোকসান হবে বলে জানান মিহির বাবু।
তিনি বলেন, হঠাৎ করে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে ব্যবসায়ীদের বিপদে ফেলে দিয়েছেন ভারত সরকার। বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে জড়িত কিছু ব্যবসায়ী জানিয়েছেন এই নিষেধাজ্ঞা ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে।
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট সমিতির সম্পাদক, কার্তিক চক্রবর্তী জানান, বাংলাদেশ সরকার যখন ইলিশ রপ্তানি করার অনুমতি দিচ্ছেন, ওই সময় ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত সত্যিই দুঃখজনক।
এক সূত্র জানায়, পশ্চিম ভারতের মহারাষ্ট্রে আগস্ট মাসে বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হঠাৎ ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে।
ওই সূত্র জানায়, প্রতি কিলোর দাম ২০ থেকে ২৫ ইন্ডিয়ান রুপির জায়গায় এখন ৩৫ থেকে ৪০ ইন্ডিয়ান রুপি হয়ে গেছে। রপ্তানি বন্ধ করলে দাম কমতে পারে তাই এই সিদ্ধান্ত।
তবে ধারণা হচ্ছে বাংলাদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম দাম বেঁধে দিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই রপ্তানির অনুমতি দেবে ভারত সরকার।