রিজভী বলেছেন, দেশের বাজারে প্রচুর পেঁয়াজ মজুদ থাকলেও বিক্রি কমিয়ে দিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। ফলে বাজারে পেঁয়াজের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এই সংকট কৃত্রিম।
আমরা বিভিন্ন সূত্র থেকে জানছি, গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এই মজুদের কথা। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে সরকারি দলের সিন্ডিকেটকে দায়ী।
বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ সরকার নিশ্চুপ এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০/৪০ টাকায়। গত দু’দিন আগেও পেঁয়াজের দাম ছিল ৫০/৫৫ টাকা, আর আজকে পেঁয়াজের দর সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে।
তিনি বলেন, অগণতান্ত্রিক জবাবদিহিতাহীন সরকারের জনগণের কষ্টের প্রতি ভ্রুক্ষেপ নেই। হঠাৎ করে বাজারে লাফ দিয়ে পেঁয়াজের দামের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধি আবারও প্রমাণ করে যে, সরকার জনগণের প্রাণের বিনিময়ে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকাকেই বড় করে দেখছে।
দেশের মানুষ ক্ষুধায়, অর্ধাহারে-অনাহারে থাকলেও তাদের কিছু যায়-আসে না। শুধুমাত্র অবৈধ ক্ষমতার মসনদকে ধরে রাখাই বর্তমান সরকারের একমাত্র কাজ।
এমনিতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা, তার ওপর এখন পেঁয়াজের এই অকল্পনীয় মূল্যবৃদ্ধি বর্তমান ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ।
সরকার সমর্থিত দলের সিন্ডিকেটই পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির পৃষ্ঠপোষক। আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতেই পেঁয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধি।
তিনি বলেন, এর আগেও সরকার প্রধান নিজেও বলেছেন, পেঁয়াজ বিমানে উঠে গেছে, আর কোনো সমস্যা নাই। এই কথা বলার মানে কী? এর মানে হচ্ছে জনগণের সাথে তামাশা করা। সরকার প্রধানের সেই কথাগুলো মানুষ ভুলে যায়নি।
যেদিনই বলেছেন তার পরেরদিনই দাম বেড়েছে। গত বছর তিন শ টাকা কেজি হয়েছিল, ফাস্ট সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরি, ট্রিপল সেঞ্চুরি তারা করে ফেললেন। জনগণের সাথে এই মস্করাগুলো করেছে সরকার।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, ফিরোজ-উজ জামান, আমিনুল ইসলাম, অঙ্গ সংগঠনের শাহজাহান মিয়া সম্রাট, আহসান উদ্দিন খান শিপন, শেখ আব্দুল হালিম খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।