আশুলিয়ায় মাদরাসার দুই শিশু শিক্ষার্থীকে পাশবিক নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জাবালে নূর কওমি মাদরাসার মো. ইব্রাহিম হোসেন দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুধবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এসআই টুম্পা সাহা আসামী ইব্রাহিম হোসেনকে আদালতে হাজির করেন।
এ সময় আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আদালতে জামিনের আবেদন করেন। আরেক ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিকা খানম শুনানি শেষে জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।
সোমবার রাতে আশুলিয়ায় শ্রীপুরের মধুপুরের ওই মাদরাসা থেকে ইব্রাহিম হোসেন আটক করা হয়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ওই কওমি মাদরাসায় হেফজ বিভাগের ১০ বছরের দুই শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন ও মাহফুজুর ফুয়াদকে বেত দিয়ে পেটায় শিক্ষক হাফেজ মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
পিটুনির সেই ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল হলে তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় রাকিবের বাবা ইমদাদুল ইসলাম ১৫ সেপ্টেম্বর আশুলিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।