চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে এগিয়ে নিতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বুধবার রাজধানীর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তর কক্ষে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী একথা জানান।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের সভাপতি ডা. মো. মনজুর কাদির, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. এস এম নজরুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জালাল উদ্দিন সরদার, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার ডা. মো. ইমরান হোসেন খান ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার ডা. গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের গতিকে করোনার মধ্যেও আমরা এগিয়ে নিয়ে গেছি। করোনাকালে মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কন্ট্রোল রুম চালু করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদিত সামগ্রী যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উৎপাদন ও বিপণন সমস্যা, রাস্তায় পরিবহন সমস্যা, বিদেশ থেকে আমদানীকৃত মৎস্য ও প্রাণিখাদ্য কাস্টমস্ থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া সমস্যা মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় চব্বিশ ঘণ্টাই মনিটর করে সমাধান করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের ব্যবস্থা করে প্রায় ৫ হাজার ৭ শত কোটি টাকার দুধ, ডিম, মাছ, মাংস বিপণন করা হয়েছে। এতে করে যারা উৎপাদক তারা লাভবান হয়েছেন, বিপণনকারী লাভবান হয়েছেন এবং এর উপকারভোগীরা লাভবান হয়েছেন।
ভেটেরিনারি কাউন্সিলের জনবল সমস্যাসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
এ সময় চলমান দাপ্তরিক কাজ কার্যকরভাবে এগিয়ে নেওয়াসহ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের জন্য বিধি প্রণয়নের ব্যাপারেও সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন তিনি।