লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে মামলার পূর্ণ শুনানি আজ বৃহস্পতিবার কুয়েতের আদালতে শুরু হচ্ছে।
তাঁর বিরুদ্ধে মানব ও অর্থ পাচার এবং শ্রমিক শোষণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
৬ জুন রাতে পাপুলের কুয়েতের বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর থেকে কারাগারে থাকা তাঁর আটকাদেশের মেয়াদ পঞ্চমবারের মতো বাড়ানো হয়েছে।
পাপুলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকা এবং তাঁকে সহযোগিতা করার অভিযোগে কুয়েতের পার্লামেন্টের দুই সদস্য সাদাউন হামাদ ও সালাহ খুরশিদ, জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল শেখ মাজন আল-জারাহসহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
কুয়েতের দৈনিক আল কাবাস ও আল রাইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেজর জেনারেল শেখ মাজন আল-জারাহ এবং অন্য দুই সরকারি কর্মকর্তা হাসান আবদুল্লাহ আল খাদের ও নওয়াফ আলী আল শালাহিকে আজ আদালতে হাজির করা হবে।
পাপুলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মারাফিয়া কুয়েতিয়াকে এরই মধ্যে কালো তালিকাভুক্ত করেছে কুয়েত সরকার। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সরকারের কয়েকটি চুক্তি ও কাজের আদেশও বাতিল করা হয়েছে। এমপি পাপুল সাধারণ পাসপোর্ট নিয়ে কুয়েতে গিয়েছিলেন।
তিনি কুয়েতের স্থায়ী বাসিন্দা। বাংলাদেশেও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পাপুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে তদন্ত করছে।