পেঁয়াজের বাড়তি চাহিদা সামলাতে টিসিবি প্রতিটি ট্রাকে আরো ১০০ কেজি করে পেঁয়াজ বাড়াচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার থেকে।
এ ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রামে পাঁচটি করে ট্রাক বাড়ানো হবে। এতে দেশব্যাপী ট্রাকের সংখ্যা হবে ২৮৫টি। আর ঢাকায় হবে ৪৫টি।
দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে অস্থিরতা কমেনি। গতকাল বুধবারও নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বাড়তে দেখা গেছে।
তবে ক্রেতাদের ‘আতঙ্কের’ কেনাকাটা কমেছে। রাজধানীর একাধিক বাজারে আগের দিনের তুলনায় গতকাল পেঁয়াজের ক্রেতা কম দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে দেশে চার ধরনের পেঁয়াজ পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি দেশি জাতের।
গতকাল কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকা পাল্লা বা ১০০ টাকা কেজি। খুচরা বাজারে তা ১১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আগের দিন ১০০ টাকায় মিলছিল এই পেঁয়াজ।
হাউব্রিড জাতের পেঁয়াজ কারওয়ান বাজারে আড়তে প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ৪৫০ টাকা পাল্লা বা ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।
খুচরা বাজারগুলোতে এই জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি। আগের দিনের চেয়ে এই দাম পাঁচ টাকা বেশি।
আমদানি করা পেঁয়াজের দামও কিছুটা বেড়েছে। গতকাল আড়তে ৬৪ টাকা, পাইকারিতে ৬৬ টাকা কেজিকে বিক্রি হয়েছে এই মানের পেঁয়াজ। আগের দিন মঙ্গলবার ৩০০ টাকা পাল্লা বা ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়।
মঙ্গলবার সর্বোচ্চ ৭০ টাকায় বিক্রি হলেও গতকাল আমদানি করা আরেক ধরনের পেঁয়াজ ৮৫ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হয় খুচরা বাজারগুলোতে। কিছুটা নিম্নমানের খোসা ছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে।
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ায় হু হু করে বাড়তে শুরু করে পেঁয়াজের দাম। ভবিষ্যতে আরো বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কায় অনেক সাধারণ ক্রেতাই পাল্লা পাল্লা পেঁয়াজ কিনতে বাজারে ভিড় করেন।
মঙ্গলবার ‘আতঙ্কের’ এই কেনাকাটা ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে গতকাল এই প্রবণতা অনেকটা কম দেখা গেছে।