মিয়ানমার থেকে আবারো পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর গতকাল শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ও আজ শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুই দিনে ৪৫ মেট্রিকটন পেঁয়াজ এসে পৌঁছেছে টেকনাফ স্থলবন্দরে।
জুন মাসের শেষ দিকে মংডু-আকিয়াব বন্দরে করোনারোগী শনাক্ত হওয়ায় মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ ছিল। এ অবস্থায় প্রায় আড়াই মাস পর শুক্রবার দুইটি জাহাজে করে প্রায় ৩০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আসে। শনিবার আরো একটি জাহাজ বন্দরে ভিড়েছে, সেখানেও আনুমানিক ১৫ মেট্রিকটন পেঁয়াজ হবে।
জসীম উদ্দীন আরো জানান, শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় আমদানি করা পেঁয়াজের কাগজপত্র এখনো জমা হয়নি। তবে, যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে খালাসের পর পেঁয়াজ বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হবে।
ভারতের পেঁয়াজ আসা বন্ধের পর দেশের আমদানিকারকরা এ পর্যন্ত ছয়টি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন বা আইপি নিয়েছেন। দেশগুলো হলো চীন, তুরস্ক, মিসর, নেদারল্যান্ডস, মিয়ানমার ও পাকিস্তান।
এর মধ্যে চীন থেকে আসতে সময় লাগবে ১৪ দিন; তুরস্ক, মিসর ও পাকিস্তান থেকে আসতে সময় লাগবে ১৫ থেকে ১৭ দিন। নেদারল্যান্ডস থেকে আসতে লাগবে ১৮ দিন।
উচ্চপর্যায়ে বৈঠকের পর মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এসব পেঁয়াজ যত দ্রুত সম্ভব খালাস করে বাজারে পৌঁছানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
টেকনাফ শুল্ক বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে গত নভেম্বরে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ২১ হাজার ৫৬০ মেট্রিকটন।
এছাড়া অক্টোবর মাসে ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিকটন, আগস্ট মাসে ৮৪ মেট্রিকটন এবং সর্বশেষ জুলাই মাসে এসেছিল ৮৩ মেট্রিকটন পেঁয়াজ।