” আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড সহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত সাতচল্লিশ জন নেতা- কর্মীর মুক্তির দাবী ” হতে পারত চলমান উপ- নির্বাচনের অন্যতম ইস্যু এবং অারও হতে পারত ঈশ্বরদীর বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করার মুল ভিত্তি। কিন্তু এই ইস্যুটাকে মাথায় নিয়ে নির্বাচনের মাঠে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ, ঈশ্বরদীতে নতুন আঙ্গিকে রাজনীতি সৃষ্টি ও পরিচালনা এবং নির্বাচনের কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য রাজনৈতিক কর্মসুচী প্রণয়নের তাগিদ অনুভব করা রাজনৈতিক নেতা- কর্মী কি বিএনপির সংগে আছে?
নির্বাচনী ইস্তেহারে বা প্রচারপত্রে স্থানীয় সমস্যা সমাধানের কিছু দাবীর সংগে ৪৭ জন নেতা- কর্মীর দণ্ডাদেশ স্থগিত করে মুক্তির দাবী কি দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থী হতো? নিশ্চয়ই নয়। তাই জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আসলে ‘ ‘সাজাপ্রাপ্ত ছাতচল্লিশ জন নেতা-কর্মীগন কি বিএনপির রাজনৈতিক এজেন্ডায় আছে? “
আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা বলেছেন,” রাজনীতি রাজনীতিবিদদের নিয়ন্ত্রনে নাই। ” এই উক্তিটি হয়ত আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে অনেকাংশেই সত্য। তার চেয়ে শতভাগ নিদারুন সত্য বিএনপির ক্ষেত্রে। বিএনপি বিশেষ করে তৃনমুলের বিএনপি পরিপুর্ন ভাবে পেশী শক্তি, কালো টাকা, দালাল পুঁজির ব্যবসায়িকদের খপ্পরে। বিধায় দলে গনতন্ত্র এবং মতাদর্শগত রাজনীতির কোন চর্চা নাই। যার কারনে বৃহত্তর জনগোষ্ঠির সমর্থনপুষ্ট রাজনৈতিক দল হওয়া সত্বেও বিএনপি তার জাতীয়তাবাদী চরিত্র লালন সহ রাজনৈতিক মতাদর্শের পতাকাকে সমুন্নত রাখতে পারছে না।
লেখক: শমিত জামান, সাংবাদিক কলামিস্ট।