ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় একমাত্র আসামি মজনুর বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী সেই শিক্ষার্থীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোসা. কামরুন্নাহারের আদালতে সাক্ষ্য দেন। এ নিয়ে মামলাটিতে ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো।
সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি মজনুর পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী রবিউল ইসলাম রবি তাকে জেরা করেন। জেরা শেষে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৩ দিন ধার্য করেন।
এর আগে আসামি মজনুকে আদালতে হাজির করা হয়। তার উপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
এদিকে, গত ২০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী ও ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী বাবা আদালতে সাক্ষ্য দেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল।
কিন্তু এদিন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোসা. কামরুন্নাহার ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৈয়দ জগলুল হোসেন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট এ মামলায় মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ভার্চ্যুয়াল আদালত। আর এর মধ্যে দিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
এদিন সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। গত ১৬ আগস্ট এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এ দিন ধার্য করেন আদালত।
১৬ মার্চ মজনুকে একমাত্র আসামি করে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক।
ওইদিনই আদালত মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন। কিন্তু করোনার কারণে আদালত সাধারণ ছুটিতে থাকায় কোনো কার্যক্রম হয়নি।
গত ৮ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন শেওড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে র্যাব ধর্ষণের ঘটনায় মজনু নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে।
৯ জানুয়ারি আদালত মজনুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ১৬ জানুয়ারি মজনু দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এরপর থেকে মজনু কারাগারে।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন। পরে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।