স্বল্প দূরত্বের যাতায়াতের জন্য সাইকেলে ও হেঁটে নিরাপদে চলাচলের পরিবেশ তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে তারা বলেছেন, ঢাকা শহরে গণপরিবহন, হাঁটা ও রিকশার মাধ্যমে ৯৩ শতাংশ চলাচল হলেও পরিকল্পনায় এই মাধ্যমগুলোর প্রাধান্য নিশ্চিত করা হয়নি।
মঙ্গলবার ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)-এর সভাকক্ষে হেঁটে ও সাইকেলে ফিরি, বাসযোগ্য নগর গড়ি’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সামসুল হক।
আলোচনায় অংশ নেন অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আখতার, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব নাসির উদ্দিন তরফদার, বুয়েটের নগর ও পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান মুসলেহ উদ্দিন হাসান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মোহাম্মদ খান, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস প্রমুখ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, যাতায়াতের চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে গণপরিবহন, সাইকেল ও হাঁটার পরিবেশ উন্নয়নের যে যোগান তা নিশ্চিত না হওয়ায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে না করেও বর্তমান সড়কে যাতায়াত চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন কার্যকরী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ। অধিক দূরত্বের জন্য গণপরিবহনের পাশাপাশি স্বল্প দূরত্বে হেঁটে ও সাইকেলে চলার পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণে বিকল্প ব্যবস্থা নির্ধারণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শুধু গণপরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পাশাপাশি রেল, নৌ , সাইকেল, রিকশা এবং হাঁটার সাথে এর সমন্বয় করতে হবে।
পরিকল্পিত ভূমি ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে যাতায়াত জনিত সমস্যা সমাধান করতে হবে। মেগা প্রকল্পসমূহের সুফল পেতে সড়ক অবকাঠামোর দিকে নজর দিতে হবে। এতে করে প্রকল্পের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে। এজন্য সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।