গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি কারণে স্বাস্থ্যখাতের ভঙ্গুর ও দুর্দশা অবস্থা। এই স্বাস্থ্যখাত ইট সেলফ আক্রান্ত, করোনায় আক্রান্ত। করোনায় আক্রান্ত মানে ভেন্টিলেশনে আছে। সরকারও কিন্তু এরকম ভেন্টিলেশনেই আছে।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে ‘মৎস্য খাতের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যতে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মামুন চৌধুরী।
সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহতাবের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবদুর রহিমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় দলের নেতা অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, লুৎফর রহমান কাজল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
গয়েশ্বর বলেন, স্বাস্থ্যখাতের অবস্থা যদি ভেন্টিলেশনে হয় তাহলে বাংলাদেশে ডাক্তারদের দুর্দিনে আসতেছে। জনগণের মধ্যে একটা অনাস্থা আসছে। খালি ভিসা প্রক্রিয়াটা (ভারত) শুরু হতে দেন এবং ঢাকা-কলকাতা গাড়িটা চালু হতে দেন। প্রতিদিন ২০ হাজার লোক চলে যাবে কলকাতায় চিকিত্সা নিতে।
বাংলাদেশের হাসপাতালগুলো পড়ে থাকবো, ডাক্তারদের চেম্বার খালি থাকবো- আপনি লিখে নেন আমার থেকে।
গয়েশ্বর বলেন, আমরা (নেতা-কর্মীরা) শুধু পদে ব্যস্ত, কমিটিতে ব্যস্ত আর কথায় ব্যস্ত। আমরা পথে নামতে ব্যস্ত হই না বলেই কিন্তু সরকার এখনো আছে। কোমায় (ভেন্টিলেশন) থাকলেও সরকার আছে।
এই কোমাটা (ভেন্টিলেশন) খোলার দায়িত্ব যদি আপনারা নিতে পারেন- তাহলে সরকার নাই। কর্মীদের পদ-পদবির দিকে না তাকিয়ে আন্দোলনের জন্য সকলকে সংগঠিত হওয়ার আহবান জানান তিনি।
একই সঙ্গে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে প্রাকৃতিক মাছ কমে যাওয়া চাষকৃত উৎপাদিত মৎস্য খাদ্যভাসে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন বিএনপির এই নেতা।