পৃথিবীর বিভিন্ন কক্ষপথে থাকা ভূসমলয় উপগ্রহগুলি (জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট) রয়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে মোটামুটি ২২ হাজার মাইল বা ৩৬ হাজার কিলোমিটার উপরে। ফলে, নাসার দেওয়া হিসেবমতো এই গ্রহাণুটি আগামী কাল ভূসমলয় উপগ্রহগুলি যেখানে রয়েছে, ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় তার অর্ধেক উচ্চতায় কান ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে পৃথিবীর।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এই খবর দিয়েছে। জানিয়েছে, যখন সবচেয়ে কাছে আসবে তখন ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১৩ হাজার মাইল বা ২২ হাজার কিলোমিটার উপরে থাকবে গ্রহাণুটি। তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘২০২০ এসডব্লিউ’। গত বছরের সেপ্টেম্বরে অ্যারিজোনায় নাসার ক্যাটলিন স্কাই সার্ভে অবজারভেটরি প্রথম হদিশ পায় গ্রহাণুটির।
পৃথিবীর একেবারে কান ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে গ্রহাণুটি বা ‘অ্যাস্টারয়েড’। আগামী কাল (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ সময় বিকেল সোয়া ৫টা নাগাদ। চেহারাটা যার একটা ছোট স্কুলবাসের মতো। নাসার তরফে অবশ্য এও জানানো হয়েছে, গ্রহাণুটির যা গতিপথ তাতে পৃথিবীকে ধাক্কা মারার কোনও সম্ভাবনাই নেই। যদি তা থাকতও তা হলেও আকারে খুবই ছোট বলে তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতিও হতো না আমাদের। আমাদের বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষে তা জ্বলে-পুড়ে গিয়ে একটা উজ্জ্বল উল্কার মতো হতো বড়জোর।
একটা আগুনের গোলা। তার ফলে পরে উল্কাবৃষ্টির ঘটনাও ঘটতে পারতো। গ্রহাণুটির এখনও পর্যন্ত যা ঔজ্জ্বল্য তা পরীক্ষা করে নাসা জানিয়েছে, চওড়ায় ২০২০ এসডব্লিউ গ্রহাণুটি হবে বড়জোর ১৫ থেকে ৩০ ফুট বা ৫ থেকে ১০ মিটার। ছোট একটা স্কুলবাসের মতো।