কড়াইল বস্তিতে শিশু মিম (৪) হত্যা মামলায় নিহতের বড় ভাই আল-আমিন দোষ স্বীকার করে আদালতে জবাবনন্দি দিয়েছে।
শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মিল্লাত হোসেনের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন আসামি আল আমিনকে আদালতে হাজির করেন। এ সময় আল-আমিন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে গাজীপুরের টঙ্গীতে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার রাত ১০ টার দিকে কড়াইল বস্তি থেকে আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল-আমিন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। সে বলছে, বাবা-মায়ের ভালোবাসায় ভাগ বসানোই ছিল তার বোন মিমের অপরাধ।
আল আমিন নরসিংদীতে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। এখন ঢাকায় বাবা-মার সঙ্গে থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ছে সে।
মিমের জন্মের পর থেকেই বাবা লিটন মিয়া ও মা রোকসানা তাকে (মিম) বেশি আদর করে বলে ধারণা আল-আমিনের। মা-বাবা বাইরে থেকে মিমের জন্য খাবার নিয়ে আসেন, কিন্তু আল-আমিনের জন্য আনে না।
এতে আল-আমিনের ভেতর ক্ষোভ ও হতাশা জন্ম নেয়। এ ক্ষোভ থেকেই গত বুধবার আল-আমিন মিমকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা টিপে হত্যা করে। পরে বস্তির গোসলখানা সংলগ্ন বাথরুমের সামনে লাশ পাওয়া যায়।
কড়াইল বস্তিতে প্রায় ১০ বছর ধরে পরিবার নিয়ে বাস করছেন লিটন মিয়া। তিনি পেয়ারা ও আমড়া বিক্রেতা। রোকসানা বেগম বিভিন্ন বাড়িতে কাজ করেন।