এমসি কলেজের ছাত্রবাসে ছাত্রলীগের ৫-৬ জন নেতাকর্মীর গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী।
খবর পেয়ে পুলিশ ছাত্রাবাসে গিয়ে ওই তরুণী ও তার স্বামীকে উদ্ধার করেছে। শুক্রবার রাত ১০টায় শাহপরাণ থানা পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে।
জানা গেছে, স্বামীকে নিয়ে ঘুরতে শুক্রবার সন্ধ্যায় এমসি কলেজে গিয়েছিলেন ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই তরুণী।
কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগের ৫-৬ জন নেতাকর্মী তাদেরকে জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রবাসে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণ করে তারা।
বর্তমানে ঐ তরুণী সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন।
শাহপরাণ থানার ওসি কাইয়ুম চৌধুরী জানান, এই দম্পতি কি জন্য ছাত্রাবাসে ঢুকেছিল সেটি জানার চেষ্টা চলছে।
অরক্ষিত ছাত্রাবাসে প্রতিদিন বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বহিরাগতের আনাগোনার পাশাপাশি অনেকেই মাদক সেবন করেন। সেই সাথে জুয়ার আসরও বসে।
কলেজের হোস্টেল সুপার জামাল উদ্দিন জানান, শুনেছি কারা স্বামী-স্ত্রীকে আটক রাখে হোস্টেলে।
পরে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। এর বাইরে তিনি আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এমসি কলেজের অধ্যক্ষ সালেহ আহমদ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছে। তবে যতটুকু জেনেছি স্বামী-স্ত্রীকে কারা হোস্টেলে আটক করে রেখেছে।