সাভারে নীলা রায় নামে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মিজানুর রহমানকে সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন।
শনিবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালত রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এর আগে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার এসআই নির্মল চন্দ্র ঘোষ তার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শনিবার রাতে সাভারে পৌরসভার উলাইল এলাকা থেকে মিজানুরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এসময় তাদের কাছে থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার দুজন হলেন, সাকিব ও জয়।
গত শুক্রবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাইরুজ তাসনীমের আদালত মিজানুরের বাবা আবদুর রহমান (৬০) ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার চারিগ্রাম থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর মিজানুরের সহযোগী সেলিম পালোয়ানের দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মানিকগঞ্জের আরিচাঘাট এলাকা থেকে ফেরি পারপারের সময় সেলিম পহলানেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে নীলা রায় ও তার ভাই অলক রায়ের পথরোধ করে বখাটে মিজানুর রহমান।
পরে তার ভাইয়ের কাছ থেকে নীলাকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে নিকটস্থ তার নিজ পরিত্যক্ত বাড়ির একটি কক্ষে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।
পরে রাতে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নীলাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরদিন গত ২১ সেপ্টেম্বর নীলার বাবা নারায়ণ রায় বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন।
এতে প্রধান আসামি করা হয় মিজানুর রহমান। এছাড়া তার বাবা আব্দুর রহমান এবং মা নাজমুন নাহারসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।