এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে তার সামনেই স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিদের একজন রবিউল হাসান।
তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের এমসি কলেজ শাখারও সভাপতি।
২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের এমসি কলেজ শাখার অনুমোদন দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন।
৪২ সদস্য বিশিষ্ট ওই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে রবিউল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সোহেব মামুন নির্বাচিত হন।
কমিটিতে সহ-সভাপতি করা হয় ২৫ জনকে এবং যুগ্ম-সম্পাদক করা হয়েছে ১৫ জনকে, যা একটি সংগঠনের ক্ষেত্রে বিরল।
একটি কলেজ শাখায় কোনো রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনে এমন পদ-পদবি দেখা যায়নি স্বাভাবিকভাবে। ফলে এই কমিটি নিয়ে শুরু থেকেই নানা অভিযোগ ছিল।
শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার এক গৃহবধূ এমসি কলেজে বেড়াতে যান।
ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগের কর্মীরা স্বামীসহ ওই তরুণীকে তুলে নেন কলেজ ছাত্রাবাসে। পরে তারা স্বামী-স্ত্রীকে বেঁধে মারধর করেন। এক পর্যায়ে স্বামীর সামনে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করেন তারা।
খবর পেয়ে এসএমপির শাহপরান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।