এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি এম. সাইফুর রহমানের পর এবার ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার সকালে অর্জুনকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে প্রধান আসামি এম. সাইফুর রহমানকে সুনামগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ধর্ষণের ঘটনায় সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করে গতকাল শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা করেছিলেন ভুক্তভোগী তরুণীর স্বামী।
অভিযুক্তরা হলেন এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা এম সাইফুর রহমান, ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাছুম।
অভিযুক্ত তারেক ও রবিউল বহিরাগত হলেও বাকি চারজন এমসি কলেজের শিক্ষার্থী। আসামিরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
অভিযুক্তদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযানে নামে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত সাইফুরের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা, একটি ছুরি ও দুটি লোহার পাইপও উদ্ধার করে।
জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী এমসি কলেজে বেড়াতে যান। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৫-৬ জন ছেলে জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় দম্পতিকে।
সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে তাঁর স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে তারা। খবর পেয়ে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করে শাহপরাণ থানা পুলিশ।