বৃহস্পতিবার(২৪ সেপ্টেম্বর) জর্ডানের রাজধানী আম্মানে বৈঠক করেন ফ্রান্স, মিশর, জর্ডানের শীর্ষ কূটনৈতিকরা। তাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি অংশ নেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো ম্যাস। বৈঠকের পর জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান আল সাফাদি সাংবাদিকদের বলেন, বিস্তৃত এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দ্বিরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই।
ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-ইয়ভেস লে ড্রিয়ান তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, সমাধানের আর কোনো পথ নেই। ফিলিস্তিন এবং ইসরাইলের উচিৎ আলোচনা শুরুর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা। এ ক্ষেত্রে আমরা তাদের সহায়তা করতে প্রস্তুত।
১৯৭৯ সালে প্রথম আরব রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে মিশর। ১৯৭৪ সালে একই পথে হাঁটে জর্ডান। তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে গেল সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের চুক্তি করে আমিরাত ও বাহরাইন। তাদের এ চুক্তির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিন।
চুক্তি দুটিকে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ফিলিস্তিন। তাদের বক্তব্য, আমিরাত এবং বাহরাইনের চুক্তি, দখল হওয়া আরব ভূমি থেকে ইসরাইলকে উৎখাত, ফিলিস্তিনের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনসহ আরব পিস ইনিশিয়েটিভে যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সেগুলোর বাস্তবায়নকে দুর্বল করে দেবে।
ইসরাইল-ফিলিস্তিনের দীর্ঘদিনের সংঘাত নিরসনের একমাত্র উপায় দ্বিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা বলে মন্তব্য করেছেন আরব এবং ইউরোপের চারটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সংকট সামাধানে আলোচনা পুনরায় শুরুর জন্য ইসরাইল-ফিলিস্তিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
ইসরাইলের সঙ্গে আমিরাত এবং বাহরাইনের সম্পর্ক স্বাভাবিকের চুক্তিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন চারদেশের পরাষ্ট্রমন্ত্রীরা। ম্যাস চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি দেখিয়েছে ওই আঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা রয়েছে। মিশরের স্যামেহ শৌকরি চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আখ্যা দিয়েছেন। বলেন, বিস্তৃত শান্তি প্রতিষ্ঠায় চুক্তি সহযোগী হবে।
মঙ্গলবার আরব লিগের বৈঠকে সভাপতিত্ব প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিন। ইসরাইলের সঙ্গে আরবদের যে কোনো চুক্তি অসম্মানের বলেও নিন্দা জানানো হয়। চলতি মাসের শুরুতে আরব পিস ইনিশিয়েটিভ লঙ্ঘন করে ইসরাইলের সঙ্গে চুক্তি করায় জোটের বৈঠকে নিন্দা প্রস্তাব দাবি করে ফিলিস্তিন। কিন্তু কয়েকটি আরব দেশের বিরোধিতায় ব্যর্থ হয় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।