প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জন্য আলোকবর্তিকা। তিনি আছেন বলেই আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, আমাদের স্বপ্ন সোনার বাংলা বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখছি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী চলতে পারলে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধশালী, স্থিতিশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী আছেন বলেই বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হয়েছে।
বাংলাদেশে বাক্ স্বাধীনতা ও চলাফেরার অধিকার নিশ্চিত হয়েছে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কেউ এখন আইনের ঊর্ধ্বে নয়। যে দলেরই হোক না কেন অন্যায় করলে শাস্তি হবে এবং হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আছেন বলেই জনতার মুখে আজ হাসি ফুটেছে। মানুষের মধ্যে আজ আশার সঞ্চার হয়েছে। কোনো হরতাল-ধর্মঘট অবরোধ নেই বলে ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা ও সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলেও শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনার মহামারির কারণে অনেক দেশের নেগেটিভ জিডিপি হলেও এডিবি’র মতে, এই বছর আমাদের জিডিপি ৫.২ শতাংশ, যা প্রধানমন্ত্রী গৃহীত পদক্ষেপের কারণে সম্ভব হয়েছে।
বর্তমান প্রজন্মকে প্রধানমন্ত্রী এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে গেছেন যেন তারা সারা বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। নারীর ক্ষমতায়নে তিনি একজন স্টার। প্রধানমন্ত্রী ৬ শতাংশ মহিলা চাকরিজীবীকে প্রায় ৪০ শতাংশে রুপান্তরিত করেছেন।
আমাদের দেশে শিশুমৃত্যু, মাতৃমৃত্যুর হার প্রতিবেশী দেশের থেকে অনেক কম। গত কয়েক দশকে আমাদের দারিদ্রসীমা অর্ধেকে নেমে এসেছে। এগুলো সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তের জন্য।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এদেশের তৃণমূলের সবচেয়ে বড় নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, বাংলাদেশে কোন লোক গৃহহীন থাকবে না। যার জমি আছে, ঘর নাই তাকে ঘর দিবেন, আর যার জমি নাই ঘরও নাই তাকেও ঘর দিবেন। এটা আমাদের মুজিববর্ষে অন্যতম লক্ষ্য।