আজ ২৯শে সেপ্টেম্বর বিকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাকক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ তাৎপর্য অনুসন্ধান শীর্ষক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সম্পাদিত ‘আমাদের স্বাধীনতা শব্দটি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জনাব আব্দুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক।
বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম শুভ জন্মদিনের মাহাত্ম্যের প্রতি। যে দিনটি ৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বইটির উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এবং সম্পাদক হিসেবে ছিলেন ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু।
ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বঙ্গবন্ধুর এই তেজদীপ্ত ঘোষণাই ছিল প্রকৃতপক্ষে আমাদের স্বাধীনতার ভিত্তি। বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন স্বাধীনতা আর মুক্তি সংগ্রামের সূচনার।
ঐতিহাসিক এই ভাষণের তাৎপর্য ও গুরুত্ব বহন করে, আমাদের অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার শুভ জন্মদিনে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছি।’
তিনি আরো বলেন, যখনই প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই ঐতিহাসিক ভাষণটি শ্রবণ করেন, তখনই তাদের মানসপটে ভেসে ওঠে স্বাধীনতার গৌরবগাথা আন্দোলন-সংগ্রামের মুহূর্তগুলো, আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে ওঠে দেশপ্রেমের আদর্শে। বর্তমান নতুন প্রজন্মের কাছে এই ভাষণ প্রেরণার উৎস।
যতদিন যাবে নতুন প্রজন্মের কাছে ৭ই মার্চের ভাষণ অনুপ্রেরণার সারথি হিসেবে কাজ করবে। আমরা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সারথি হব।
ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতার সাথে রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশে বজ্রকণ্ঠে যে ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন তা ছিল মূলত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ শুধু ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতিকেই অনুপ্রাণিত করেছিল তা নয়, বরং এই ভাষণ যুগে যুগে বিশ্বের সকল অবহেলিত, বঞ্চিত ও স্বাধীনতাকামী জাতি-গোষ্ঠীকে অনুপ্রেরণা যোগাতে থাকবে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ সব ধরনের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে বজ্রতুল্য ঘোষণা। যা কেবল একাত্তরেই নয়, বর্তমান সময়েও আমাদের অনুপ্রাণিত ও উজ্জীবিত করে চলেছে। বঙ্গবন্ধু আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়ে গেছেন- তাঁর দেখানো পথেই আমরা তাঁরই সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় গড়ে তুলবো ‘স্বপ্নের সোনার বাংলা।
এসময় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।