বর্তমান সরকার দুই ঠ্যাংয়ের (পা) ওপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, সেই দুই ঠ্যাংয়ের একটা হচ্ছে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসী, আরেকটি হচ্ছে তাদের সাজানো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই দুই পায়ের ওপরে সরকার দাঁড়িয়ে।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্যদের ব্যঙ্গ করে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট কাহিনিনির্ভর কুরুচিপূর্ণ নাটক প্রচারের প্রতিবাদে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
রিজভী বলেন, ক্ষমতার লোভে, হালুয়া-রুটির লোভে, কয়েকজন তথাকথিত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা যাদের কোনো লেখা নাটক, কবিতা অথবা গান মানুষ কোনোদিন শুনেছে কিনা জানি না, তারা একটা নাটক লিখেছে ইনডেমনিটি নামে।
একটা চটি, বস্তা পচা নাটক এটা, সেটা কি কেউ জানে না? কিন্তু যেহেতু ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগকে সন্তুষ্ট করতেই, সরকারকে সন্তুষ্ট করতেই এ নাটক বানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এই সরকার ডিক্টেটর নয়, নাৎসিবাদের পর্যায়ে চলে গেছে। ডিক্টেটর এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে তাকে পরাজিত করা যায়। কিন্তু নাৎসিবাদকে পরাজিত করার জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো যুদ্ধের প্রয়োজন হয়।
ফ্যাসিবাদ ও নাৎসিবাদ ঠেকাতে গিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হয়েছে। তাহলে সেই ফ্যাসিস্ট গভমেন্ট এর বিরুদ্ধে। এই সরকারের পেছনে জনগণ নেই।
আজকে সাংস্কৃতিক সংগ্রাম করতে হবে। সাংস্কৃতিক সংগ্রাম কিন্তু রাজনৈতিক সংগ্রামের থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ। সাংস্কৃতিক সংগ্রামে যদি ওই সাংস্কৃতিক পরজীবীদের আমরা প্রতিহত করতে না পারি তাহলে সার্বভৌমত্ব থাকবে না, স্বাধীনতা থাকবে না।
রিজভী বলেন, আমি সরকারকে বলতে চাই জিয়ার নামে, খালেদা জিয়ার নামে কলঙ্ক লেপন করবেন, কিন্তু আওয়াজ বন্ধ হবে না। আমরা এখনও শার্টের বোতাম খুলে তপ্ত সীসার বুলেট ধারণ করতে পারি।
আমরা সেই জাতীয়তাবাদী বাহিনী যারা আপনার এত গুম-খুনের পরেও এখনও মাথা উঁচু করে মিছিল করি, আমরা আমাদের বক্তব্য রাখি, আমরা আমাদের কর্মসূচি পালন করি।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাকীর হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।