রায়ের পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রিফাত ফরাজী হাসছিলেন

বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে মিন্নিসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ মামলায় খালাস পেয়েছেন চারজন। বিচারক রায় পড়ার পুরো সময়জুড়েই শান্ত ও স্থির ছিলেন মিন্নি।

এই রায়ের পর আরেক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজীকে হাসতে দেখা গেছে। রায় ঘোষণার পর আসামিদের আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় রিফাত হাসতে হাসতে প্রিজন ভ্যানে ওঠেন।

গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পরের দিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। এরপর ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক; দু’ভাগে বিভক্ত করে ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।

এতে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

গত ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

এরপর ৮ জানুয়ারি থেকে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। মোট ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে এ মামলায়।

১৬ সেপ্টেম্বর এ মামলার দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান রায়ের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন।