প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন জানিয়েছেন, করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে শিক্ষকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে স্কুলে আসার নির্দেশনা জারি করা হয়নি। আমরা এ ধরনের কোনো নির্দেশনা জারি করিনি।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা নির্দেশনা জারি করেছি স্কুল রি-ওপেনিং প্ল্যান। যখন স্কুল পুনরায় খোলা হবে তখন কোন কোন বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে স্কুল খুলবে সেটার একটা গাইডলাইন তৈরি করেছি।
ডব্লিউএইচও, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ইউনিসেফ, ইউনেস্কো যেসব গাইডলাইন তৈরি করেছে সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে এটা তৈরি করেছি। সেটা সব স্কুলে দিয়েছি। আমাদের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেই রি-ওপেনিং প্ল্যান বিবেচনা করে একটা স্কুল রি-ওপেনিং প্ল্যান তৈরি করবে।
সেজন্য বলেছি স্কুল খোলার ১৫ দিন আগে কাজগুলো করতে হবে। এর বাইরে স্কুলে আসতে হবে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত আমরা দেইনি।
সচিব বলেন, আমরা কিন্তু সরকারি কর্মচারী। আমাদের সব অফিস খুলে দিয়েছে।
স্কুলেও কিছু কাজ থাকে, একাডেমিক কাজ থাকে। শিক্ষকরা আসতেই পারে, অফিসাররা আসতেই পারে।
আমরা ১৬ মার্চ পর্যন্ত ৩০-৩৫ শতাংশ পাঠ পরিকল্পনা শেষ করতে পেরেছি। রেডিও, টেলিভিশন, সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার করে পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছি।
আমাদের মেইন টার্গেট হলো- প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মিনিমাম একটা লার্নিং কমপিটিন্সি লাগে। এটা যাতে প্রতিটি শিশু অর্জন করতে পারে সে ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। পরীক্ষা বা মূল্যায়ন না।
তিনি বলেন, স্কুলের শিক্ষকই বলতে পারবে বাচ্চারা সঠিকভাবে লার্নিং কমপিটিন্সি অর্জন করতে পেরেছে কিনা, সেট নিয়ে আমরা কাজ করছি।
প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা একটা টুলস তৈরি করে পরবর্তী ক্লাসে তুলে দেওয়ার জন্য বলেও জানান তিনি।