রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে যেখানে ছাত্রলীগ-যুবলীগের অফিস রয়েছে, সেসব স্থান ডেঞ্জার জোনে পরিণত হয়েছে।
ছাত্রলীগ-যুবলীগের অফিসের কাছে কোনো কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্তানদের পাঠাতে ভয় পাচ্ছে অভিভাবকরা। বিশেষ করে মেয়েদের পাঠাতে ভয় পাচ্ছে।
কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসগুলো ছাত্রলীগ-যুবলীগের দৌরাত্ম্যে এখন শিক্ষার্থীদের জন্য ডেঞ্জার জোন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
জিয়াউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যঙ্গ করে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট কাহিনিনির্ভর কুরুচিপূর্ণ নাটক প্রচারের প্রতিবাদে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের যত রাগ, যত ক্ষোভ সব জিয়াউর রহমানের প্রতি, বেগম খালেদার প্রতি। আর এ রাগ কী জন্য জানেন আপনারা? উনার পিতা যে কাজটি করতে পারেনি, সে কাজটি করেছেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেছেন।
তারা এটি অর্জন করতে পারেনি। তাই তাদের ক্ষোভ, কেন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করলো? এটা পাকিস্তান থাকতো, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতো আমার বাবা। কেন তিনি ঘোষণা দিলেন? কেনো তিনি যুদ্ধ করলেন?
তিনি বলেন, এখন শুধুই গুণগান শেখ হাসিনার শেখ পরিবারের। তারাই নাকি সবকিছু করেছে। তারা নাকি বাংলাদেশের মালিক। বিএনপির সোচ্চার কণ্ঠে এর প্রতিবাদ করে।
বিএনপি যখন তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করে, যখন গণতন্ত্র হত্যার প্রতিবাদ করে, তখন তারা প্রতিহিংসায় সমালোচনায় লিপ্ত থাকে।
সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগ কর্তৃক নববধূকে গণধর্ষণের ঘটনার পর শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকার আর কোনো বৈধতা আছে? না, নাই। আপনার (শেখ হাসিনা) মন্ত্রিরা আপনার জন্মদিন পালন করে। আপনার লজ্জা লাগে না? এমসি কলেজের দিকে তাকান, পাহাড়িদের দিকে তাকান।
এগুলো ঢাকার জন্য কিছু সাংস্কৃতিককর্মী দিয়ে নাটক রচনা করেছেন। এই নাটক মানুষ দুই পা দিয়ে দলবে। সাধারণ মানুষ এই নাটকের বই নিয়ে এসে দুই পায়ে দলন করবে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি জিয়াউর রহমানকে বলেন পাকিস্তানের চর, আরে পাকিস্তানের চর তো আপনারা, দালাল তো আপনারা।
আপনারা তৈরি হয়েছেন বিদেশি গোয়েন্দা ল্যাবরেটরিতে। এজন্য তাদের স্বার্থ ছাড়া দেশের স্বার্থ আপনারা দেখেন না।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আঞ্জুমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।