মহামারিতে চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে দেশে ফেরা ও বিদেশে অবস্থান করা প্রবাসীর সংখ্যা এখনো তেমন না কমলেও রেমিট্যান্সের চিত্র এখনো আশাব্যঞ্জক রয়েছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসের ধারাবাহিকতায় সেপ্টেম্বর মাসে ২১৫ কোটি ১০ লাখ ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে প্রবাসীরা- যা একক মাস হিসেবে দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আয়।
বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান।
সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিটেন্স এসেছিল চলতি বছরের জুলাইয়ে ২৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলার।
গেলো মাসে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা ৪৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রবাসীরা।
এ নিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৭১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪৫২ কোটি ডলার।
এ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৪৯ শতাংশ।রেমিটেন্স প্রবাহ ভালো থাকায় গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভও বেড়ে ছাড়িয়েছে ৩৯ বিলিয়ন ডলার।
২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট এক হাজার ৮২০ কোটি ৪৯ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। গত অর্থবছরের বাজেটে রেমিটেন্সে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা ঘোষণার পর বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ে।
এবারের বাজেটেও প্রণোদনা সুবিধা অব্যাহত রাখায় করোনার মধ্যেও যে হারে রেমিটেন্স আসছে তা অব্যাহত থাকলে বছর শেষে রেমিটেন্স আয় আড়াই হাজার কোটি ডলারের মাইলফলক ছোয়ার প্রত্যাশা করাই যায়।