ফেনীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করার ঘটনায় শিবির নেতা আজিজ আল ফয়সালকে পুলিশ আটক করে টাকার বিনিময়ে রফাদফা করার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার রাতে ফেনী মডেল থানায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ করেন।
প্রায় এক বছর পূর্বে ফেনী শহরের ডাক্তারপাড়া হাজী ইমাম বক্স সড়ক এলাকার মনিরুল হকের ছেলে শিবির নেতা আজিজ আল ফয়সালের সাথে দাগনভুইয়া উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ফেনী সরকারি কলেজের এক ছাত্রীর সাথে পরিচয় হয়।
উভয়ের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।বিয়ের করার আশ্বাস দিয়ে ওই ছাত্রীকে নিয়ে বিভিন্নস্থানে নিয়ে রাত্রি যাপন করে ফয়সাল। এছাড়া প্রায় সময় বিভিন্ন অযুহাতে কলেজ ছাত্রী থেকে বিকাশের মাধ্যমে ফয়সাল টাকা নিতো।
বিয়ে করে এই ছাত্রীকে ঘরে তুলে নিতে ফয়সালের উপর চাপ আসে। এতে নানা টালবাহানা শুরু করে। একপর্যায়ে বিয়ে থেকে রক্ষা পেতে কলেজ ছাত্রীর বিরুদ্ধে কল্পকাহিনী সাজিয়ে ৩ মে ফেনী মডেল থানায় অভিযোগ দেয় ফয়সাল।
৮ মে শুক্রবার বিকালে থানার এসআই বিকাশ চক্রবর্তী ওই কলেজ ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মুল ঘটনা বেরিয়ে আসে। ওই ছাত্রী ফয়সালের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাকে উভয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের নানা ভিডিও,ছবি ও কল রেকর্ড দেখান। ফয়সালকে ওই দিন সন্ধ্যায় থানায় ডেকে এনে আটক করে পুলিশ।
একটি চক্রের মাধ্যমে টাকার রফাদফা করে ৯ মে শনিবার রাতে থানা থেকে মুক্তি পান শিবির নেতা ফয়সাল। ঘটনাটি জানাজানি হলে নারী নেত্রীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করে।
কলেজ ছাত্রীর আত্নীয় জানান, ফয়সালকে বিয়ের চাপ দিলে সে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নানা হুমকি দিয়েছে বলে জানতে পারছি।
বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করার সব প্রমাণ থাকার পরেও সমঝোতার কথা বলে গরীব পরিবারের এ মেয়েকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
ফেনী পৌর আওয়ামীলীগের এক নেতা জানান, জামাত-শিবিরের নাশকতা কাজে জড়িত ছিল ফয়সাল। কিছু লোকের কারনে সে পুলিশের মামলা থেকে রক্ষা পায়। এখনো ফয়সালের ঘরে জামাত শিবিরের গোপন বৈঠক হয় বলে এ নেতা জানিয়েছেন।
এ ব্যপারে ফেনী মডেল থানার এসআই ও তদন্তকারী কর্মকর্তা বিকাশ চক্রবর্তী আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ছেলে মেয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছে।
পরে উভয়ের পরিবার বসে সমঝোতা করেছে। কলেজ ছাত্রী অভিযোগ দিলে মামলা নিতে পুলিশ প্রস্তুত।