নানা বাড়ি গিয়ে ৭ বছরের এক শিশু তার আপন মামাতো ভাই সোহেল প্যাদা কর্তৃক ধর্ষণের স্বীকার হয়েছেন।
চিকিৎসার জন্য স্বজনরা তাকে শনিবার সন্ধ্যায় আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন।
ধর্ষণের ঘটনাটি বুধবার সন্ধ্যায় ঘটলেও ভিকটিম ধর্ষিতার রক্তক্ষরণ হয়ে পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।
শিশুটির বাবা জানান, গত তিন মাস পূর্বে শাশুড়ি খুশিদা বেগমের (৫৫) অসুস্থতার খবরে আমার স্ত্রী ভিকটিম কন্যা শিশুটিকে নিয়ে তালতলী উপজেলার শারিকখালী গ্রামে নানা বাড়ি যায়।
সেখানে এখনো তারা অবস্থান করছেন। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমার শিশু কন্যাটিকে কৌশলে সভার অজান্তে ফুসলিয়ে রান্নাঘরে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আমার স্ত্রীর বড় ভাই মো. ফারুক প্যাদার বখাটে ছেলে সোহেল প্যাদা।
এতে ধর্ষিতা শিশুটির ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়ে অসুস্থ হয়ে গেলেও ধর্ষক সোহেলের ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি।
বিকেলে পুনরায় ব্যথা ও রক্তক্ষরণ শুরু হলে ভিকটিম শিশুটি মায়ের কাছে সেই দিনের ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলে।
বিষয়টি স্থাণীয় গ্রাম পুলিশ মামুন জেনে সংশ্লিষ্ট শারিকখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশার বাদশা তালুকদারকে জানান।
তিনি গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার বাবা মায়ের মাধ্যমে শনিবার সন্ধ্যার পরে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার আলহাজ্ব ডা. ফারজানা আক্তার দিনা বলেন, আপাদত এতটুকুই বলা যাচ্ছে শিশুটি হয়রানির স্বীকার হয়েছে।
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান মিয়া মুঠোফোনে বলেন, ঘটনাটি শুনেছি, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।
অভিযোগ পেলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।