বর্তমান সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বিশ্বাস করে। কোনো রকমের সীমাবদ্ধতার কারণে কেউ যেন পিছিয়ে না পড়ে সে লক্ষে সরকার কাজ করছে।
আমাদের দেশে অটিজম ও এনডিডি ধারণাটির বহুল পরিচিতির পেছনে যার অবদান সবচেয়ে বেশী তিনি হলেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কন্যা বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি সায়মা ওয়াজেদ হোসেন।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তি যে সমাজের বোঝা নয়, তাদেরকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার মাধ্যমে আমাদের উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়া যায় এ ধারণাটি তৈরি করেছেন তিনিই। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ অটিজম বিষয়ে সারাবিশ্বে পরিচিত ও নেতৃত্ব দিচ্ছে।
রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম অ্যান্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজএবিলিটিজ (নান্ড) এর উদ্ভোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে এই সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম অ্যান্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজএবিলিটিজ (নান্ড) এর প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ড. দিদারুল আলম।
মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি নান্ড যেন শুধুমাত্র অটিস্টিক শিশুদের পরিচর্চায় সীমাবদ্ধ না থেকে সারা দেশের শিক্ষকদের অটিস্টিক শিশুদের পরিচর্চায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে অবদান রাখে তার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, নান্ড যেন সেন্টার ফর রিসার্চ, সেন্টার ফর কনটেন্ট ডেভেলপম্যান্ট হিসেবে গড়ে উঠে সে দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
আজ নান্ড এর অস্থায়ী ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই একাডেমি প্রতিষ্ঠার জন্য ঢাকার অদূরে পূর্বাচলে ৩.৩ একর জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত একাডেমিতে ১৫ তলা প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ১০ তলা আবাসিক ভবন, ৬ তলা বিশিষ্ট একটি ছাত্র হোস্টেল, ৬ তলা বিশিষ্ট একটি ছাত্রী হোস্টেল, ৫০০ আসনবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক মানের অডিটোরিয়াম এবং বিশেষায়িত সুইমিংপুল ও খেলার মাঠ থাকবে’।
নান্ড এর উদ্দেশ্য হলো একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন জাতীয় অটিজম একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা, যার মাধ্যমে অটিজম ও এনডিডি শিক্ষার্থীদের একীভূত শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা, শিক্ষার্থীদেরকে নিরাপদ আবাসিক সুবিধা প্রদান করা, অটিজম ও এনডিডি শিশুদের পরিচয় ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অভিভাবকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা, এ ধরণের শিশুদের চাহিদা অনুসারে বিকল্প দক্ষতা যেমন নাচ, গান, ছবি আঁকা ইত্যাদির বিকাশ ঘটানো, অটিজম ও এনডিডি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরলের প্রশিক্ষণ যেমন ; কারিগরি, ভােকেশনাল ও আইটি প্রশিক্ষণ প্রদান করা।